সমগ্র উত্তর ২৪ পরগনা জেলা জুড়ে একটিও সরকারি ক্যাথ ল্যাব না থাকার বিষয়টি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের করা হয় একটি জনস্বার্থ মামলা। মামলা দায়ের করেন বনগাঁ আদালতের তরুণ আইনজীবী দীপাঞ্জয় দত্ত।

ক্যাথল্যাব সংক্রান্ত এই মামলার শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রঞ্জিত বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে এই তরুণ আইনজীবীর পক্ষ থেকে জানানো হয় সমগ্র উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় একটিও সরকারি ক্যাথ ল্যাব নেই। অথচ হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য ক্যাথ ল্যাব অত্যন্ত জরুরী। এই আবেদনকারী জানান বনগাঁ মহকুমা অঞ্চলে সুপার স্পেশালিটি সরকারি হাসপাতাল থাকলেও সেখানে ক্যাথ লাব সংক্রান্ত পরিষেবা পাওয়া যায় না। তার ফলে এই অঞ্চলের কোনো রোগী হৃদরোগে আক্রান্ত হলে তাকে দীর্ঘ পথ পেরিয়ে কলকাতায় নিয়ে আসতে হয়। দীপাঞ্জয় দত্ত বলেন, “বনগাঁ সাব-ডিভিশনের সবচেয়ে প্রান্তিক অঞ্চল বাগদায় কোনো মানুষ হৃদরোগে আক্রান্ত হলে তাকে প্রায় ১০০ কিলোমিটারের বেশি রাস্তা পেরিয়ে এসে সবচেয়ে কাছের হাসপাতাল আরজি করে ভর্তি করতে হয়। অথচ বনগাঁ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে এই পরিষেবা থাকলে এতো দুর্ভোগ পোহাতে হতো না মানুষকে।”

এই জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে সারা দিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেয় দ্রুত বনগাঁ মহকুমা অঞ্চলে অন্ততপক্ষে একটি ক্যাথ ল্যাব পরিষেবা শুরু করতে। হাইকোর্টের এই নির্দেশের ফলে এই অঞ্চলের প্রায় ১৩ লক্ষ মানুষের সুবিধে হল। এর ফলে এখানকার হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীরা যেমন দ্রুত চিকিৎসা পাবেন, তেমনই গরিব মানুষদের মোটা টাকা দিয়ে গাড়ি ভাড়া করে কলকাতায় আসার ঝঞ্ঝাট থেকেও মুক্তি মিলবে।

তবে এই জেলার নানা প্রান্তের মানুষকে সঠিকভাবে স্বাস্থ্য পরিষেবা দিতে হলে রাজ্য সরকারের উচিত প্রতিটি মহাকুমা অঞ্চলের একটি করে সরকারি হাসপাতালে অন্তত ক্যাথ ল্যাব পরিষেবা চালু করা। সে ক্ষেত্রে বনগাঁ-বাগদা অঞ্চলের পাশাপাশি সন্দেশখালি-মিনাখাঁর মতো জেলার প্রান্তিক অঞ্চল গুলিও উপকৃত হবে।