স্বল্প মূল্যে প্রোটিন যুক্ত খাবারের তালিকায় ডিমের জুরি মেলা ভার । ডিমে থাকে প্রচুর পরিমানে প্রোটিন,ক্যালশিয়াম ও ভিটামিন্স তাই বিশেষজ্ঞরা প্রতিদিন একটি করে ডিম খাওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু এই ডিম খাওয়ার পর ওপরের যে খসাটি আমরা ফেলে দি আপনি কি জানেন সেটির ও রয়েছে বেশ কিছু উপকারিতা। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই উপকারিতাগুলি কি কি?
• ডিমের খোসায় থাকে প্রচুর পরিমানে ক্যালসিয়াম এবং মিনারেল তার জেরে এই খোসা গুড়ো করে সার হিসাবে গাছের গোঁড়ায় ব্যাবহার করলে তা মাটি উর্বর করে গাছে পুষ্টি যোগায় এবং পোকামাকড়ের হাত থেকেও গাছকে রক্ষা করে।
• ঘরোয়া পদ্ধতিতে ত্বকের গ্লো বাড়াতে চান? তাহলে একটি ডিমের সাদা অংশের সাথে ডিমের খোসার গুড়ো ও মধু মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে মুখে লাগান ৫ মিনিট রাখুন, তারপর ঈষৎ উষ্ণ গরম জলে মুখটা ধুয়ে ফেলুন। শীতের মরশুমে ঝলমলে কোমল ত্বক পান ঘরে বসেই।
• ডিমের খোসা বাসনের পোড়া মসলার দাগ তুলতে সাহায্য করে। ডিমের খোসার গুড়ো ডিশ ওয়াশের সাথে মিশিয়ে বাসন পরিষ্কার করুন তারপর দেখুন ম্যাজিক।
• রান্নাঘরের সিঙ্ক পরিষ্কার করতেও দারুন কাজ দেয় ডিমের খোসা। সিঙ্কের নলে খাবারের টুকরো আটকে অনেক সময় সিঙ্কের মুখ বন্ধ হয়ে যায়। তাই সিঙ্কের মুখে একটু বড় সাইজের ডিমের খোসা রেখে দিলে সমস্ত খাবারের টুকরো জমা হবে তার মধ্যেই আর পরিষ্কার থাকবে আপনার সিঙ্ক।
• গাঁটের ব্যাথায় ভুগছেন? ডিমের খোসার গুড়ো ভিনিগারে মিশিয়ে কিছুদিন রেখে দিন । গুড়ো ভিনিগারের সাথে একদম মিশে গেলে সেই মিশ্রণটি ব্যাথার জায়গায় মালিশ করুন। ডিমের খোসায় কোলাজেন ও হায়ালুরোনিক অ্যাসিড থাকে যা ভিনেগারের সাথে মিশে ব্যথার উপশম করে।
• কফির তেঁতো ভাব কাটাতেও কাজে দেয় এই ডিমের খোসা। কফির সাথে ডিমের খোসার গুড়ো মেশান তার পর সেটি ছেঁকে নিন। কফির তিতকুটে স্বাদ কেটে যাবে।
তাহলে দেখে নিলেন তো ডিমের মত ডিমের খোসার গুণাগণ ও নেহাতই কিছু কম নয়। তাই এবার থেকে আর ফেলে না দিয়ে এভাবে কাজে লাগান ডিমের খোসা আর দখুন এর কামাল।