নিজস্ব সংবাদদাতা- ২০১৭ সালের ২০ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি পদে ডোনাল্ড ট্রাম্প শপথ নেওয়ার পর থেকেই তার একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য এবং পদক্ষেপের ফলে নিজের দল রিপাবলিকান পার্টির একাংশ তার ওপর অসন্তুষ্ট ছিলেন। বেশ কিছু বিল পাশের সময় রিপাবলিকান পার্টির কংগ্রেস সদস্যরা ট্রাম্পের বিরোধিতাও করেন। তবে তারা যে তাকে রাষ্ট্রপতি পদ থেকে ‘ইম্পিচ’ করতে চাইবেন তা ভাবা যায়নি!
এর আগেও একবার ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব আনা হয়েছিল মার্কিন কংগ্রেসে। সেই সময় ডেমোক্র্যাটদের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয় রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পদপ্রার্থী জো বাইডেন ও তার পুত্রকে জোর করে কালিমালিপ্ত করতে ইউক্রেন প্রশাসনের ওপর অনৈতিকভাবে চাপ সৃষ্টি করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প! এই অভিযোগে মার্কিন সংসদ অর্থাৎ কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব আনলে ডেমোক্রেট সংখ্যাগরিষ্ঠ হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভে তা পাস হয়ে যায়। কিন্তু কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ অর্থাৎ সেনেটে রিপাবলিকানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই এই প্রস্তাব পাস হয়নি।
প্রথমবার ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব ভেস্তে যাওয়ার পর আবার তার বিরুদ্ধে হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব আনতে চলেছেন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। এবারে অভিযোগ ডোনাল্ড ট্রাম্প সমর্থকদের উস্কানি দিয়ে মার্কিন সংসদ ভবন ক্যাপিটল হাউসে হামলা করিয়েছেন।
তবে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব আনার আগে ডেমোক্র্যাটরা চেষ্টা করেছিলেন সংবিধানের ২৫ নম্বর ধারা প্রয়োগ করে উপরাষ্ট্রপতি মাইক পেন্স ও ক্যাবিনেট মন্ত্রীরা ট্রাম্পকে রাস্ট্রপতির ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিন। এই প্রস্তাব নিয়ে গতকাল মার্কিন সংসদের নিম্ন কক্ষ হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভে ভোটাভুটি হয়। তাতে দেখা যায় ডেমোক্র্যাটদের পাশাপাশি ৫ জন রিপাবলিকান সদস্যও প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছেন! অর্থাৎ, তারাও ট্রাম্পের অপসারণ চান।
২৩০-২০৫ ভোটে ট্রাম্পকে অপসারণ করার এই প্রস্তাবটি পাশ হলেও তার মূল্য বিশেষ নেই। কারণ গতকালই মার্কিন উপরাষ্ট্রপতি মাইক পেন্স হাউজের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসিকে চিঠি লিখে জানিয়েছেন তিনি সংবিধানের ২৫ নম্বর ধারা প্রয়োগ করে ট্রাম্পকে ক্ষমতা থেকে সরাবেন না। কারণ তার মতে ‘এরকম কোনো কিছুর’ প্রয়োজন নেই।