নিজস্ব সংবাদদাতা- পশ্চিমবঙ্গ সফরের এসে প্রথম কর্মসূচি থেকেই জনসংযোগে গুরুত্ব দিলেন জেপি নাড্ডা। তিনি প্রথমেই যান মালদার ইনস্টিটিউট ফর সাব-টপিকাল হর্টিকালচারে। এটি স্থানীয় মানুষজনের কাছে ম্যাঙ্গো রিসার্চ ইনস্টিটিউট নামে পরিচিত। সেখানে প্রায় ২০ মিনিট থাকার পর বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত কথোপকথনের পর বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির গাড়ি এই মুহূর্তে মালদা জেলার সাহাপুরের সভা মঞ্চের দিকে এগিয়ে গিয়েছেন।
আম গবেষণা কেন্দ্রের ভেতরে ঘুরে ঘুরে যাবতীয় পরিকাঠামো দেখেন জেপি নাড্ডা। গবেষক, বিজ্ঞানীদের সঙ্গে এখানকার কার্যপদ্ধতি নিয়ে বিস্তারিত কথা বলেন। বাইরে বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এখানকার পরিকাঠামো সম্বন্ধে সন্তোষ প্রকাশ করার পাশাপাশি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার এখানকার উন্নতির জন্য যা যা করা দরকার সব কিছুতেই সহযোগিতা করবে।”
আম গবেষণা কেন্দ্রে প্রবেশ করার সময় বিজেপি সভাপতিকে প্রস্তাবিত রথযাত্রা সম্বন্ধে প্রশ্ন করা হলে বলেন, “সন্ধ্যেবেলায় গোটা বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে।” ঘটনা হল আজ বিকেল ৪:৩০ নাগাদ নদীয়া জেলার নবদ্বীপ থেকে ‘পরিবর্তন যাত্রা’ নামে রাজ্য বিজেপির রথ যাত্রার সূচনা করার কথা জেপি নাড্ডার। কিন্তু এখনও পর্যন্ত প্রশাসনের অনুমতি পাওয়া যায়নি। এদিকে বিজেপির রাজ্য নেতারা জোরের সঙ্গে বলেছেন পরিবর্তন যাত্রা অবশ্যই হবে।
আম গবেষণা কেন্দ্র থেকে সাহাপুরের দিকে যাওয়ার জন্য গাড়িতে উঠে পড়ার পর এখানকার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের আব্দারে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি আবার নেমে আসেন। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের সঙ্গে ছবি তুলে আবার গাড়িতে উঠে সভা মঞ্চের দিকে রওনা দিয়েছেন। রাজনৈতিক মহল মনে করছে বিধানসভা নির্বাচনের আগে সর্বস্তরের মানুষের সমর্থন পাওয়ার উদ্দেশ্যেই গাড়িতে উঠে গিয়েও নেমে আসেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি।
ঘটনা হল আজকে যথেষ্ট ঠাসা কর্মসূচির মধ্য দিয়েই যেতে হবে জেপি নাড্ডাকে। মালদার সাহাপুরে প্রায় ৩ হাজার কৃষকের সঙ্গে ‘সহভোজ’ নামে এক কর্মসূচিতে একই পংক্তিতে বসে আহার করার পর একটি সংক্ষিপ্ত রোড শো করবেন। এরপর তিনি নবদ্বীপে যাবেন পরিবর্তন যাত্রার সূচনা করতে। তারপর ৬ টা নাগাদ সাংবাদিক সম্মেলন করার পর দিল্লির উদ্দেশ্যে উড়ে যাবেন জেপি নাড্ডা।