গোলমরিচ খেতে ভালোবাসেন ? ঝাল ছাড়া কোনও কিছুর স্বাদ ভালোলাগেনা ? অনেকে তো বলেন গোলমরিচ প্রায় সব ধরনের পদে দিয়ে থাকেন শুধুমাত্র গোলমরিচের ফ্লেভার টার জন্য। জ্বরের মুখে আলু মরিচ বা বাটার টোস্টে গোলমরিচের গুঁড়ো-খেতে সবারই ভালোলাগে। কিন্তু শুধুই কি স্বাদটা ভালো ? উপকারের দিক থেকেও কিন্তু কোনরকম কম যায়না । আপনি কি জানেন যে মিশকালো গোলমরিচের ওষধি গুণ শরীরকে রোগমুক্ত রাখতে আর রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।তাহলে চলুন জেনে নিই গোলমরিচের কিছু গুণাগুণ ।
সবার আগে বলে রাখি, গোল মরিচের বৈজ্ঞান সম্মত নাম হল পিপার নিগ্রাম, একটি ভরপুর পুষ্টিতে ভরা ঝাঁঝালো, শুকনো ঝাল স্বাদের ফল যা সাধারণত মশলা হিসেবে প্রায় প্রতিটি রান্নাঘরে ব্যবহার করা হয়। এটি এক ধরনের গাছ থেকে চাষ করা হয় । সেই গাছের মধ্যে এক রকমের ফুল থেকে গোল মরিচের সৃষ্টি হয়। গোল মরিচ সাধারণত তিন প্রকারের হয়- কালো, সবুজ ও লাল ।এবার আলোচনা করার কি কি পুষ্টিগুণ আছে এই গোলমরিচের। মশলার রাজা বলা হয় গোলমরিচ কে । কারণ এটির মত এত গুনাগুণ নাকি আর কোনও মশলায় নেই। এটি মূলত দক্ষিণ ভারতে মূল মশলা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এমনকি, মশলা ও ওষুধ হিসেবেওগোলমরিচ ব্যবহার করা হয়।
গোলমরিচের পুষ্টিগুণ :
গোলমরিচে প্রায় (১০০ গ্রাম)ভিটামিন A ও ক্যালসিয়ামপ্রোটিন , ১১.৫ গ্রামফ্যাট , ৬.৮ গ্রামশর্করা , ৮৯.২গ্রামক্যালসিয়াম , ৮৬০ মি.গ্রামফসফরাস, ১৯৮ মি. গ্রামআয়রন , ১৬.৮ মি.গ্রাভিটামিন B ১ , ০.০৯ মি.গ্রামভিটামিন B২ ও ০১.৪মি.গ্রাম আছে।
এক আউন্স গোল মরিচে রয়েছে উচ্চ পরিমানে ভিটামিন কে, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন ও ফাইবার যা শরীরের জন্য ভীষণ ভাবে উপকারী । এছাড়া এই গোল মরিচ থেকে তৈরী হয় নানা রকমের সুগন্ধি তেল যা এরোমা থেরাপি, শরীরের পেশিতে মালিশ, আর্থ্রাইটিসের ফোলাভাব ও হজমের জন্যে অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তাছাড়া, গোল মরিচে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এন্টি অক্সিডেন্ট, এন্টি ব্যাক্টিরিয়াল যা দেহের রোগ প্রতিরোধক ও জ্বর নাশ করার ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে । যাদের ধূমপান করার অভ্যেস আছে কিন্তু তারা ছাড়তে পারছেন না, তাদের জন্যে গোল মরিচ হল একটি অনবদ্য চিকিৎসার ঔষধি। এবার জেনে নিই গোলমরিচের ১৮টি উপকারিতা সম্পর্কে –
১)সর্দি কাশি ও ঠান্ডা লাগার জন্যে গোল মরিচ:
প্রাচীন বৈজ্ঞানিক ও ঔষধিক শাস্ত্রে গোল মরিচকে এক বিশেষ স্থান দেওয়া হয়। সর্দি কাশি ও ঠাণ্ডা লাগার ক্ষেত্রে এই গোল মরিচ দারুণ কাজ দেয়। ২ চামচ গোল মরিচের গুঁড়োর সাথে এক চামচ মধু এক কাপ গরম জলে মিশিয়ে পান করলে তা সর্দি ও নাক বন্ধের ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক ঔষধির কাজ করে। এটি দিনে ৩ বার পান করুন।যাদের এস্থেমা বা সাইনাসের সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রেও গোল মরিচ বেশ কাজ দেয় । শ্বাস কষ্ট ও কাশির ক্ষেত্রে এই গোল মরিচ বিশেষভাবে উপকারী।
২)হজমের জন্যে গোল মরিচ:
হজমের জন্যে যে সমস্ত প্রয়োজনীয় এনজাইম বা হরমোনের প্রয়োজন হয়, তা গোল মরিচের দ্বারা ভালোভাবে তৈরী করা যায়। খাওয়ার সময় গোল মরিচ খেলে তা প্যানক্রিয়াস ও লিভারের হজম ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলার জন্যে খাদ্যগুলিকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশে ভেঙে এনজাইম দ্বারা হজম করতে সাহায্য করে । এছাড়া গোল মরিচের বিভিন্ন উপাদান পেটের গ্যাস রোধ করতে সাহায্য করে। তাই এখন থেকে রান্নায় লঙ্কার গুঁড়ো ব্যবহার করার বদলে গোল মরিচ ব্যবহার করার অভ্যেস করুন। পেটে জ্বালাভাব ও ব্যাথা কমাতেও গোল মরিচের উপকারিতা অনবদ্য।
৩) ক্যান্সারের জন্যে গোল মরিচ:
ক্যান্সারের বিরুধ্যে সুরক্ষা প্রদান করতে গোল মরিচের জুড়ি মেলা ভার । শরীরে সেলিনিয়াম, কারকিউমিন, বেটা-ক্যারোটিন এবং ভিটামিন বি শোষণ করতে গোল মরিচ বিশেষ ভাবে সাহায্য করে। এগুলি ক্যান্সার রোধকারী উপাদান হিসেবে কাজ করে।কোলন ক্যান্সারের বিরুধ্যে গোল মরিচ রেকটামে চাপ কমাতে সাহায্য করে। প্রোস্ট্রেট ক্যান্সারের জন্যেও এই গোল মরিচ বিশেষভাবে উপকারী । ক্যান্সারের জন্যে যেসব ডোক্টাক্সেল বা কেমো থেরাপির ওষুধ ব্যবহৃত হয়, সেগুলির অনেকগুলিই গোল মরিচের সাহায্যে তৈরী হয় ।
৪) দাঁত ও মুখের জন্যে গোল মরিচ:
কিছু কিছু টুথপেস্টে গোল মরিচ ব্যবহার করা হয় কারণ এটি দাঁতে ব্যাথা ও মুখের জন্যে খুব উপকারী। গোল মরিচের এন্টি ব্যাক্টিরিয়াল উপাদান দাঁত ও মুখের জন্যে বিশেষভাবে উপকারী।মাড়ির সমস্যা হলে বা ফুলে গেলে এক চিমটি নুনের সাথে একটুখানি গোল মরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে মাড়িতে হালকা করে মালিশ করুন। অবশ্যই ভাল ফল পাবেন। তবে এটি করার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নেবেন।
৫) ওজন কমাতে গোলমরিচ:
মোটা হয়ে যাওয়া বা ওজন বেড়ে যাওয়া রোধ করতে গোল মরিচ খুব উপকারী ভূমিকা নেয়। শরীরে যেই সমস্ত কোষগুলি মেদ সৃষ্টি করে, গোল মরিচ সেগুলির বিরুধ্যে কাজ করে মেদ ঝরাতে সাহায্য করে ।ওজন কমানোর জন্যে আপনি যেই খাদ্য তালিকা অনুসরণ করেন, সেখানে অবশ্যই গোল মরিচ যোগ করুন। যেকোনো সুস্বাদু খাদ্যকে অন্য কোনো মশলাপাতি দিয়ে ম্যারিনেট না করে, লেবু ও গোল মরিচ ব্যবহার করুন কারণ এতে রয়েছে মাত্র ৮ ক্যালোরি।
৬)গ্যাসের জন্যে গোল মরিচ:
গ্যাসের সমস্যায় ভুগলে গোল মরিচ দারুণ উপকার প্রদান করে কারণ এতে রয়েছে কিছু উপাদান যা পেট ফেঁপে থাকা বা টক ঢেকুর থেকে নিমেষেই মুক্তি দেয়। গ্যাস হলে এক কাপ গরম জলে এক চামচ গোল মরিচ মিশিয়ে সেটি পান করুন, ফল অবশ্যই পাবেন ।
৭)খিদে বাড়াতে গোল মরিচ:
আগেই বলা হয়েছে যে গোল মরিচ হজমের ক্ষেত্রে প্রবল সাহায্য করে। এর ফলে আপনার ক্ষুধাভাব স্বাভাবিক হয়ে আসে ও আপনার খাওয়ার ইচ্ছে বেড়ে যাবে। ফলে অল্প খেলেই যে পেটে জ্বালাভাব, ভার, বা অন্যান্য হজমের সমস্যা হয়ে থাকে, সেগুলি কেটে যায়। এর জন্যে রোজ খাওয়ার পাতে যেকোনো খাদ্যের সাথে বা ফলের সাথে এক চিমটি করে গোল মরিচ যোগ করে খাওয়ার অভ্যেস করুন।
মানসিক চাপ বা বিষন্নতা কমাতে গোল মরিচ: মানসিক চাপ বা বিষন্নতা দূর করতে গোল মরিচ দারুণ একটি ওষধির কাজ করে। গোল মরিচ থেকে কিছু বিশেষ এসেনশিয়াল অয়েল বা সুগন্ধি তেল তৈরী হয় যা শরীরে মালিশ করলে সারাদিনের ক্লান্তিভাব কেটে যায়। এমনকি, মাথায় গোল মরিচের তেল মালিশ করলেও মাথা ধরা ও চাপ কমে যায় ও খুব ভাল ঘুম হয়। এছাড়া, বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমাণিত হয়েছে যে, উচ্চ রক্তচাপ কমিয়ে আনতেও গোল মরিচ বিশেষ ভাবে সাহায্য করে।
৮) ডায়াবেটিস কমাতে গোল মরিচ:
গোল মরিচে থাকা এন্টিঅক্সিডেন্ট রক্তে গ্লুকোসের উচ্চ পরিমাণ স্বাভাবিক করতে সাহায্য করে ও হাইপারগ্লাইসেমিয়া নিয়ন্ত্রণ করে। বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে যে গোল মরিচ তেলে থাকা বিভিন্ন পুষ্টিকর উপাদান ২ রকমের এনজাইম সৃষ্টি করে যা স্টার্চকে গ্লুকোসে পরিণত করতে সাহায্য করে। এর ফলে ডায়াবেটিসের প্রবণতা অনেক কমে আসে।ডায়াবেটিসের জন্যে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন রকমের ঔষধ যেমন মেটফরমিন শরীরে দীর্ঘদিন প্রবেশ করতে করতে কিছু কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। গোল মরিচ এই সব পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলি সহজেই কমিয়ে আনে ও ধীরে ধীরে আপনার মেটফরমিন নেওয়ার প্রয়োজনও ফুরিয়ে আসে ।
৯)আর্থ্রাইটিসের জন্যে গোল মরিচ:
গোল মরিচ থেকে তৈরী তেল বাতের ব্যাথা বা আর্থ্রাইটিসের জন্যে বেশ উপকারী। অনেক আয়ুর্বেদিক ও ভেষজ চিকিৎসায় গোল মরিচ থেকে তৈরী তেল দিয়ে আর্থ্রাইটিসের ব্যাথা মালিশ করে ঠিক করা হয়। এছাড়া গোল মরিচে রয়েছে ক্যালসিয়াম যা হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্যে খুবই ভাল।
সংক্রমণের বিরুদ্ধে কাজ করে: গোল মরিচের এন্টিব্যাক্টিরিয়াল উপাদান শরীরের যে কোনো রকমের সংক্রমণের বিরুধ্যে দারুণ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। একটি দক্ষিণ আফ্রিকান পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে যে গোল মরিচে থাকা পিপারাইন শরীরে যেকোনো জীবাণুর বিরুধ্যে লড়াই করে, বিশেষ করে যখন সেই জীবাণু শরীরে প্রবেশ করে প্রজনন শুরু করে। এর ফলে আপনি নানারকমের অসুখ থেকে মুক্তি পেয়ে যাবেন।
১০) এন্টিঅক্সিডেন্টের কাজ করে:
সুস্বাস্থ্যের জন্যে এন্টি অক্সিডেন্ট খুবই প্রয়োজন এবং গোল মরিচে রয়েছে উচ্চ পরিমাণ এন্টি অক্সিডেন্ট যা জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। এছাড়া সারাদিন যারা অত্যাধিক কাজের চাপের মধ্যে থেকে মানসিকভাবে ক্লান্ত থাকেন, তাদের ক্ষেত্রে গোল মরিচ একটি অনবদ্য ঔষধির কাজ করে ।এছাড়া বিশ্বের নানা বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে যে অন্য যে কোনো এন্টি অক্সিডেন্ট যুক্ত খাদ্যের তুলনায়, গোল মরিচে থাকা এন্টি অক্সিডেন্টের পরিমাণ সব থেকে বেশি। এতে আছে উচ্চ পরিমাণ ফেনোলিক উপাদান যা স্বাস্থ্যের জন্যে খুবই প্রয়োজনীয়। এগুলি ক্যান্সারের বিরুধ্যেও লড়াই করতে সাহায্য করে।
১১) মস্তিষ্কের জন্যে গোল মরিচ:
মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্যেও গোল মরিচের উপকারিতা প্রবল। গোল মরিচে থাকা পিপারেন একটি এনজাইম তৈরী করে যা মস্তিষ্কের নিউরো ট্রান্সমিটারকে ঠাণ্ডা করতে সাহায্য করে। এই এনজাইম মেলাটোনিনকে নিয়ন্রণ করতেও সাহায্য করে যা মানুষের ঘুমের চক্রকে শান্তভাবে মানিয়ে চলে।পার্কিনসন্স রোগের জন্যেও গোল মরিচের উপকারিতা আছে। গোল মরিচের দ্বারা তৈরী হওয়া ডোপামাইন সু-চিন্তা ও খুশি থাকার হরমোন সৃষ্টি করতে সাহায্য করে। এর ফলে বিষন্নতা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।নিয়মিত গোল মরিচ খাওয়ার ফলে আলজাইমার হওয়ার প্রবণতা অনেকটা কমে আসে। এটি স্নায়ুকে শান্ত করে ও দ্রুত কোষের মৃত্যু হওয়াকে রোধ করে ।
১২) ধূমপান ছাড়াতে গোল মরিচ:
বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে যে গোল মরিচ ধূমপানের মত নেশা ছাড়াতে খুব সাহায্য করে। প্রতিদিন নিয়ম করে গোল মরিচ দিয়ে ফোটানো জলের ভাপ নিলে ধূমপানের নেশা ধীরে ধীরে চলে যায় ত্বকের জন্য গোল মরিচের উপকারিতা – স্বাস্থ্যের পাশাপাশি গোল মরিচের উপকারিতা ত্বকের জন্যেও নানা রকম ভাবে প্রমাণিত হয়েছে।
১৩) বয়শের ছাপ কমাতে গোল মরিচ:
গোল মরিচে থাকা এন্টি অক্সিডেন্ট ত্বকে বার্ধক্যের ছাপ কমিয়ে আনতে সাহায্য করে। এর ফলে ত্বকের দাগ, ছোপ বা কুঁচকোনো ভাব অনায়াসে কেটে যায়। ভাল ফল পেতে হলে প্রতিদিন নিজের খাদ্য তালিকায় অল্প করে গোল মরিচ যোগ করুন। এছাড়া এক চামচ মধু বা হলুদের সাথে গোল মরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে প্রতিদিন দুবার করে লাগানোর অভ্যেস করুন। তাতে আরো দ্রুত ফল পাবেন।
ত্বকের রুক্ষভাব দূর করে: গোল মরিচ ত্বকের জন্যে স্ক্রাবারের কাজ করে। এর ফলে ত্বকের সমস্ত মৃত কোষ ঝরে যায় ও ত্বক আরো কোমল ও মোলায়েম হয়ে যায়। এই স্ক্রাবার বানাতে হলে এক চামচ গোটা গোল মরিচ ভালো করে গুঁড়ো করে ৩ চামচ দইয়ের সাথে মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দারুণ ফল পাবেন।এই প্যাকটি ত্বকের বিষাক্ত ধুলো, ময়লা পরিষ্কার করে ত্বককে মোলায়েম করে তার ঔজ্জ্বল্য ফুটিয়ে তুলবে। এছাড়া এতে ত্বকের রক্ত সঞ্চালন ভালো হয় ও প্রয়োজনীয় অক্সিজেন ও পুষ্টি বাড়তে থাকে। এটি এন্টি ইনফ্লেমেটরি ও এন্টি ব্যাক্টিরিয়াল যা ব্রণ আটকায়।শ্বেতী দূর করে: শ্বেতী হলে ত্বকের আসল রং বা পিগমেন্ট নষ্ট হয়ে কিছু কিছু অংশে সাদা বা কালো ছোপ পড়ে যায়। যদিও এর জন্যে নানা রকমের ওষুধ পাওয়া যায় তবে এগুলি ব্যবহার করলে ত্বক ভীষণভাবে রুক্ষ হয়ে পড়ে। এক্ষেত্রে, গোল মরিচ বিশেষভাবে সাহায্য করে। এটি শুধুমাত্র সুরক্ষিত নয়, এটি রীতিমত কেমিকেল মুক্ত।
১৪) চুলের জন্য গোল মরিচের উপকারিতা –
গোল মরিচের উপকারিতা শুধুমাত্র স্বাস্থ্য ও ত্বকের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, এর উপকারিতা চুলের ক্ষেত্রেও বিশেষভাবে দেখা যায়। বিস্তারিতভাবে দেখে নেওয়া যাক:নতুন চুল গজাতে গোল মরিচের ভূমিকা আছে। একটি গোটা লেবুর রস বের করে এক চামচ গোল মরিচের গুঁড়োর সাথে মিশিয়ে স্ক্যাল্পে ভালো করে ঘষে ঘষে লাগিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট রেখে ঠাণ্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।এছাড়া ২ চামচ মধুর সাথে এক চামচ গোল মরিচের গুঁড়ো মিশিয়েও স্ক্যাল্পে লাগাতে পারেন। এতে চুল গজায় ও চুলের সিঁথি ভরাট হয়।
খুশকি দূর করে :চুলে খুশকির সমস্যা রোধ করতে গোল মরিচ বিশেষভাবে সাহায্য করে। এক চামচ গোল মরিচের গুঁড়ো এক বাটি দইয়ের সাথে মিশিয়ে স্ক্যাল্পে ভালো করে লাগিয়ে ২০ মিনিট রাখুন। তারপর ভালো করে ঠাণ্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। তবে শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন না। এতে ড্যানড্রফ ধীরে ধীরে কমে আসবে। তবে অতিরিক্ত এই প্যাকটি ব্যবহার করবেন না, এতে স্ক্যাপে জ্বালাভাব ও অস্বস্তি হতে পারে।