জাতীয় ব্রাউনি দিবস প্রতি বছর ৮ ই ডিসেম্বর,পালন করা হয়। একটি চকলেট ব্রাউনি হতে পারে আপনার রাতের আহার শেষের মিষ্টি। আনন্দময় মুহূর্তের জন্য প্রকৃত দুনিয়া গলে যাবে ; এমনি এর স্বাদ।
কাইলে হ্যানসনের লেখা ‘ দ্য ব্রাউনি ‘ ছোট কবিতায় ব্রাউনিকে লোভনীয়ভাবে হৃদয় থেকে বর্ণনা করেছেন-
“O how the scent smells
It smells like my mothers shampoo
It feels like heaven
Not like hell
O how I love brownies
I just want to kiss you Brownie”
https://www.youtube.com/watch?v=VvJm4pQZ04s
•ব্রাউনির সূত্রপাত
ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে যুক্তরাষ্ট্রে ব্রাউনি তৈরি হয়েছিল। একটি কুকি এবং কেকের মিলিত রুপ। ব্রাউনি শীঘ্রই সারা দেশে খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল।
•ব্রাউনির স্রষ্টা
ফ্যানি ফার্মার ব্রাউনির স্রষ্টা। রান্না বইতে “ব্রাউনিজ” রেসিপি পরিচিতির প্রথম ব্যক্তি হলেন ফ্যানি ফার্মার। যিনি দ্য বোস্টন কুকিং-স্কুল কুকবুকের 1896 সংস্করণে তাঁর রেসিপিটি একটি আয়তক্ষেত্রাকার প্যানে বেকড হওয়ার জন্য রূপান্তর করেছিলেন।
কিন্তু সেই রেসিপিটিতে কোনও চকোলেট নেই! মূলত আমরা যাকে ব্লন্ডি বলি তা তৈরি করেছিল। ব্রাউনি তৈরি করা হয় ব্রাউন সুগার দিয়ে যাকে আমরা ব্লন্ডি বলি।
•ইতিহাস
১৮০০ এর দশকের শেষের দিকে একটি মেলায় অংশ নিতে এমন একদল মহিলা এই মিষ্টির অনুরোধ করেছিল। তারা চেয়েছিল একটি ছোট কেক-জাতীয় মিষ্টি যা একটি বক্সযুক্ত মধ্যাহ্নভোজে খাওয়া যেতে পারে। পামার হাউস হোটেলে কর্মরত একটি শিকাগো শেফ মহিলাদের জন্য প্রথম ব্রাউনি তৈরি করেছিলেন, যাতে একটি এপ্রিকট গ্লাস এবং আখরোট দেখা যায়। পামার হাউস হোটেলটি এখনও তাদের মেনুতে ব্রাউনির, তাদের মূল রেসিপিটি পরিবেশন করে।
ব্রাউনির সময়কাল
১৮৯৩ : মিষ্টি হিসেবে পরিচিতি পায় পামার হাউসে। হোটেলের শেফ আখরোট ও এপ্রিকট গ্লাস দিয়ে ব্রাউনি তৈরি করে। তবে ব্রাউনি নামটি দেওয়া হয় পরবর্তী সময়ে।
১৯০৪ : আমরা আজ যে ব্রাউনি সকলে চিনি, তার আবিষ্কর্তা ব্যাঙ্গরের এক গৃহিণীর হাতে। যা,’ব্যাঙ্গর ব্রাউনি’ নামে পরিচিত।
১৯১৪ : স্কাউটিংয়ের মেয়েদের বয়সের বিভিন্ন পরিসীমা সম্পন্ন করার জন্য ব্রাউনি। গার্ল স্কাউট ব্রাউনি গ্রুপ যা রোজবাডস নামেও পরিচিত। লর্ড বাডেন পাওয়েল এই গ্রুপ সংঘটিত করেছিল।
১৯২১ : বেকিং সম্পর্কে গ্রাহকদের হাজার হাজার প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য ওয়াশবার্ন সংস্থা বেটি ক্রকার চরিত্রটি তৈরি করেছিল।
•আপনি ব্রাউনি প্রেমী ?
এই দিনটি আপনি উদযাপন করুন :
∆ আপনি ভালোবাসার সাথে বাড়িতে ব্রাউনি বানান। নতুন ধরনের ব্রাউনি চেষ্টার জন্য এটি বিশেষ দিন। আপনি দুধের সাথে ব্রাউনি উপভোগ করতে পারেন।
∆ আপনার তৈরি ব্রাউনি সকলের সাথে ভাগ করুন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্রাউনির ছবি পোস্ট করে আরও অনেককে ব্রাউনি বানাতে অনুপ্রাণিত করুন।
∆ ভিন্ন ভিন্ন ব্রাউনির স্বাদ পেতে নতুনত্ব ব্রাউনি তৈরি করুন। ইন্টারনেট থেকে দেখে নিন ব্রাউনির রেসিপি।
সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে ৬০% মানুষ বাদামমুক্ত ব্রাউনি পছন্দ করেন। সেটা হয়ত বাদামে অ্যার্লাজি বা বাদামে অপছন্দের কারণবশত।৩৬% মানুষ ব্রাউনির টেক্সচার পছন্দ করেন এবং ব্রাউনির কোণের টুকরো খেতে চান। ব্রাউনিটা আপনি কিভাবে খাবেন সেটা আপনি ঠিক করুন, কারণ ব্রাউনির স্বাদ সবসময় মনভোলানো যাদুর মতো। আপনি যদি সামান্য ক্রিস্পি কেক পছন্দ করেন তবে ব্রাউনি আপনার সঠিক পছন্দ। আপনি কোনোদিনও ব্রাউনি খাননি! শীঘ্রই ব্রাউনি খান আর অতুলনীয় স্বাদে হারিয়ে যান। ব্রাউনির জগৎসেরা নাম, প্রত্যেকের শেষ পাতে অতুলনীয় স্বাদে মুখে হাসি ফোটাতে এটি কার্যকরী।