তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডকে একতরফাভাবে হারিয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ভারত। ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নামা ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা নিজেদের মাটিতে জসপ্রিত বুমরাহের ধ্বংসযজ্ঞের মুখোমুখি হয়েছিলেন। বুমরাহ ও শামি জুটি 10 ওভারের মধ্যে ইংলিশ দলের 5 ব্যাটসম্যানকে প্যাভিলিয়নে পাঠিয়েছিল। গত মাসে, ওডিআই ক্রিকেটে সর্বোচ্চ স্কোর করা ইংল্যান্ডের ব্যাটিং এই ম্যাচে তামাশা হয়ে গিয়েছিল এবং এর পিছনে সবচেয়ে বড় কারণ ছিলেন জাসপ্রিত বুমরাহ, যিনি প্রথম ম্যাচেই 19 রান দিয়ে 6 উইকেট নিয়েছিলেন।
ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা ভারতীয় বোলারদের মারাত্মক বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতে পারেনি এবং মাত্র 110 রানে গুটিয়ে যায়। জবাবে অধিনায়ক রোহিত শর্মার অর্ধশতক ইনিংসের সুবাদে কোনও উইকেট না হারিয়েই 10 উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় ভারত। ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারে কোনও রান না দিয়ে দুই উইকেট নেন জসপ্রিত বুমরাহ। তিনি প্রথমে জেসন রয়কে বোল্ড করেন এবং পরে জো রুটকে ক্যাচ আউট করেন। এরপর জনি বেয়ারস্টো, লিয়াম লিভিংস্টোনের উইকেটও নেন তিনি। বুমরাহ কারসের রূপে তার পঞ্চম উইকেট নেন এবং তারপর উইলিকে আউট করে ইংল্যান্ডের ইনিংস শেষ করেন।
বুমরাহ যখন ওভালে ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের শেষ অবস্থা করছিলেন, তখন তাঁর স্ত্রী সঞ্জনা গণেশন মাঠের বাইরেও ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের খারাপ ব্যাটিং নিয়ে মজা করতে পিছপা হননি। ম্যাচ চলাকালীন, সঞ্জনা স্টেডিয়ামের বাইরে ফুট স্টলে গিয়েছিলেন এবং সেই ফুড কোর্টে ‘ক্রিস্পি ডাক’ নামে একটি স্টলও ছিল, যার সামনে দাঁড়িয়ে সঞ্জনা ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের ট্রল করেছিলেন এবং এর ভিডিও এখন ভাইরাল হচ্ছে।
প্রথম ওয়ানডেতে খাতা না খুলেই প্যাভিলিয়নে ফিরে যান ইংল্যান্ডের 4 ব্যাটসম্যান। এই বিষয়ে সঞ্জনা বলেন, “আমরা এমন একটি স্টলে এসেছি যেখানে বেশিরভাগ ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা আসা এড়াতে চান। একে ‘ক্রিস্পি ডাক’ বলা হয়। আমরা একটি ‘হাঁসের মোড়ক’ পেয়েছি এবং আমরা দেখতে পাব যে মাঠের বাইরের হাঁস কেমন হয়। কারণ মাঠের হাঁসগুলো অসাধারণ”।