অসাধ্য সাধন হয়ত একেই বলে। রুক্ষ, শুষ্ক চাঁদের মাটিতেও এবার গাছের জন্ম দিতে সক্ষম হলেন বিজ্ঞানীরা। যা নিয়ে উৎফুল্ল পৃথিবীর সমস্ত বিজ্ঞানীরা। এতে একদিকে যেমন চাঁদে অক্সিজেনের অভাব দূর করা যাবে অন্যদিকে খাদ্য তৈরি ও মানুষের উপনিবেশ তৈরিতেও এক মাইলফলক হবে এই সাফল্য। চাঁদের রুক্ষ মাটি নিয়ে গবেষণা এবং পর্যবেক্ষণ চলেছিলো ১৯৬৯ সাল থেকে, যখন অ্যাপোলো-১১ চাঁদের মাটি ছুঁয়েছিল। ওইসময় চাঁদ থেকে মাটি আনার পর গবেষণায় ব্যস্ত ছিলেন বিজ্ঞানীরা।
কিন্তু চাঁদের রুক্ষ এবং কর্কশ মাটিতে প্রাণের কোনও আশা ছিলো না।এতবছর পর হঠাৎ করে যখন প্রাণের সঞ্চার হলো, বিজ্ঞানীরা সবাই আপ্লুত। তাহলে কি এবার চাঁদে মানুষের বসবাস সম্ভব হবে? পৃথিবীর উপর কিছুটা ভার কমানো যাবে? এসব প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়ত বিজ্ঞানীদের কাছে আরও সহজ হল।
For the first time ever, scientists have grown plants in lunar soil.
— NASA (@NASA) May 12, 2022
This @UF and @NASASpaceSci experiment using Apollo Moon samples could shape the future of sustainable astronaut missions to deep space. Dig into the story: https://t.co/ZtUvowKi8e pic.twitter.com/PWGzev7lmN
ইউনিভার্সিটি অফ ফ্লোরিডার কৃষি বিভাগের অধ্যাপক রবার্ট কার্ল ও তাঁর সহকর্মীরা থালে ক্রেস নামে একটি গাছের বীজ বপন করেছিলেন। তার পরিণতি দেখে এখনো বিশ্বাস হচ্ছেনা অধ্যাপক রবার্ট কার্লের। গবেষক সিমন গিলোরিও ব্যাপারটা নিয়ে ভীষণ উৎসাহ প্রকাশ করেছেন। উনি বলেছেন যে, ” চাঁদে যে প্রাণের বিস্তার সম্ভব, তা প্রমাণিত, এবার সরাসরি চাঁদের মাটিতে গিয়ে বীজ বপনের চিন্তা ভাবনা চলছে। “
অ্যাপোলো-১১ থেকে আনা ৩৮২ কিলোগ্রাম মাটি থেকে প্রত্যেক চারার জন্য ১ গ্রামেরও কম মাটি ব্যবহার করা হয়েছে। সাধারণ বৃদ্ধির তুলনায় একটু ধীর গতিতে বেড়ে উঠছে চারাগুলি। RNA পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়ার পর লবণাক্ত ও ধাতব মাটিতে বেড়ে ওঠার দুর্বলতা চারাগুলির মধ্যে পরিলক্ষিত হয়েছে। তবে বিজ্ঞানীদের মতে পৃথিবী থেকে কিছু বসতি যে চাঁদে স্থানান্তরন সম্ভব তা কিছুটা পরিষ্কার।