নিজস্ব সংবাদদাতা: অনুব্রত মন্ডলের মুখ থেকে প্রথম শোনা গিয়েছিল এবারের ভোটের মাস্টার স্লোগান। তারপর থেকে ‘খেলা হবে’র জনপ্রিয়তা বাড়তে বাড়তে আকাশ ছুঁয়ে ফেলেছে। শুধু তৃণমূলের গন্ডিতে আর আটকে থাকেনি খেলার হুঁশিয়ারি। খড়ের গাদায় অগ্নিস্ফুলিঙ্গের মতো তা পৌঁছে গেছে বঙ্গ রাজনীতির কোণায় কোণায়। সিপিএম থেকে বিজেপি, পাল্টা খেলার কথা বলেছে সকলেই।
তবে ‘খেলা হবে’র বাড়বাড়ন্ত বঙ্গ ভোটের লড়াইয়ের প্রথম দিনেও থেমে থাকতে রাজি নয়। এবার তাই সে পাড়ি দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের ভৌগোলিক সীমানার বাইরেও। বিধানসভা নির্বাচনের আগে আসামের দেওয়ালে দেওয়ালেও দেখা যাচ্ছে একুশের বহু চর্চিত ‘খেলা হবে’ স্লোগান। সে রাজ্যেও প্রায় সব রাজনৈতিক দলই নিজেদের প্রচারে ব্যবহার করছে স্লোগানটি। ভোটের আবহে আসামের রাজনীতির পারদ একাই চড়াচ্ছে বাংলার খেলা হবে।
উল্লেখ্য, প্রথম দিকে স্লোগানটির ব্যাপক বিরোধিতা করেছিল বিজেপি। কিন্তু ধীরে ধীরে দেখা যায় উল্টো সুর। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় নেতারা যাঁরাই পশ্চিমবঙ্গে এসেছেন, তাঁদের মুখেই শোনা গেছে এই স্লোগান। অবশ্য স্লোগানের বিরোধিতার ধারাকেও বজায় রেখেছেন কেউ কেউ। তাঁরা মনে করেছেন, এই স্লোগানের মধ্যে যে অলিখিত হিংসার ইঙ্গিত রয়েছে, তা শুধু ভোটের আবহে নয়, যে কোনো সময়েই রাজনীতির পক্ষে ক্ষতিকর। তাঁরা স্পষ্টই জানিয়েছেন, বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশে ভোটকে নিয়ে ‘খেলা’ করার এই প্রবণতা শুধু উদ্বেগের কারণ নয়, বিপজ্জনকও বটে। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্য, যেখানে শিল্পায়ন তলানিতে এসে ঠেকেছে, কর্মসংস্থানের আশায় ভিন রাজ্যে পাড়ি জমাতে হচ্ছে যুবসমাজকে। এই অভিযোগকে হাতিয়ার করে পাল্টা ‘বিকাশ হবে’ স্লোগানও আনতে দেখা গেছে গেরুয়া শিবিরকে।
বিরোধিতাকে পাত্তা না দিয়েই অবশ্য প্রাক-নির্বাচনী আসাম মজেছে খেলা হবে-তে। শুধু দেওয়াল লিখনেই নয়, খেলা হবে শোনা গেছে নির্বাচনী প্রচার সভাতেও।