নিজস্ব সংবাদদাতা- কোচবিহার রাজপরিবারের কুলদেবতা মদনমোহননের মন্দিরে পুজো দেওয়ার পর পরিবর্তন যাত্রা রথের সূচনা করতে গিয়ে অমিত শাহ আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে বক্তব্য রাখলেন। তিনি সরাসরি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে বলেন, “অনুপ্রবেশ ইস্যুতে মমতাকে সরাবে জনতা।” এর পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনের সময় বাহুবলের রাজনীতির দিকে ইঙ্গিত করে অমিত শাহ বলেন, “মমতার গুন্ডা দিয়ে আর ভোট হবে না।”
কোচবিহারে রাজবংশীদের কাছে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হল অনুপ্রবেশ। তারা দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছে বাংলাদেশিরা বেআইনিভাবে ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করে কোচবিহারে বসতি স্থাপন করছে। এই অনুপ্রবেশের ফলে তারা ক্রমশ জমি হারাচ্ছে বলে মনে করেন রাজবংশীরা। এই সেন্টিমেন্টকে হাতিয়ার করেই আজ তার বক্তৃতায় অনুপ্রবেশ ইস্যুকে সামনে নিয়ে আসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তার অভিযোগ বাংলাদেশের একটা বড় অংশকে আইনিভাবে অনুপ্রবেশে সাহায্য করছে তৃণমূল। তারাই পরবর্তী পর্যায়ে রাজ্যের শাসক দলের হয়ে কাজ করছে। তিনি বলেন, “বাংলায় অনুপ্রবেশ রোখার জন্য পরিবর্তন যাত্রা হচ্ছে।”
অনুপ্রবেশকে হাতিয়ার করে হুঙ্কারের সুরে এই কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতা বলেন, “বিজেপি এলে একটি মশাও রাজ্যে প্রবেশ করতে পারবে না!” আগামী বিধানসভা নির্বাচনকে ঐতিহাসিক তকমা দিয়ে অমিত শাহ স্লোগান তোলেন, “চলো পাল্টাই”।রাজবংশীদের মন জয় করার লক্ষ্যে কোচবিহারের রাজবংশী সংস্কৃতি কেন্দ্র গড়ার কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। এর পাশাপাশি পঞ্চানন বর্মার মূর্তি গড়ার কথাও ঘোষণা করেন অমিত শাহ।
বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিভিন্ন সভায় গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়ম করে উল্লেখ করেন তিনি কোচবিহারে পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করেছেন। রাজবংশীদের মন জয় করার লক্ষ্যে পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয় যখন তৃণমূলের তাস হয়ে ওঠায় পাল্টা পঞ্চানন বর্মার মূর্তি গড়ার কথা ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, অন্তত রাজনৈতিক মহলের অভিমত তাই। এর পাশাপাশি বিজেপি ক্ষমতায় এলে এক সপ্তাহের মধ্যেই রাজ্যবাসী আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের সুবিধা পাবে বলেও ঘোষণা করেছেন। প্রতিশ্রুতির ঢেউয়ে ভেসে গিয়ে অমিত শাহ জানান বিজেপি এরাজ্যে ক্ষমতায় আসলে রাজ্যের কৃষকদের একাউন্টে ১৮ হাজার করে টাকা দেওয়া হবে।