নিজস্ব সংবাদদাতা: কেন্দ্রের ৩ কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে গত ২ মাসেরও বেশি সময় ধরে দিল্লীর একাধিক সীমান্ত এলাকায় লাগাতার কৃষক আন্দোলন চলছে। দিল্লীর প্রবল ঠাণ্ডায় ইতিমধ্যেই অংশগ্রহণকারী একাধিক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। তেমনই এক কৃষকের মৃত্যুর পর তাঁর দেহ রাখা হয়েছিল এনডিএ জোট শাসিত হরিয়ানার এক সরকারি হাসপাতালের মর্গে। আর সেখানেই সেই মৃতদেহ খুবলে খেল ইঁদুর।
উল্লেখ্য, আন্দোলন স্থলে অসুস্থ হওয়ার পর রাজেন্দ্র সরোহা নামের ৭০ বছরের সেই ব্যক্তিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপর মর্গে তাঁর দেহ রেখে দেওয়া হয় ময়নাতদন্তের জন্য। পরের দিন যখন দেহ বার করা হয়, তখন দেখা যায়, রক্তাক্ত হয়ে আছে শরীর। সেখানে তাঁর পায়ের একটি অংশ নেই, ইঁদুরে খুবলে খেয়েছে। সেই নিয়েই নতুন করে তৈরি হয়েছে বিতর্ক।
জানা গিয়েছে, সম্প্রতি গ্রাম পঞ্চায়েতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে, একটি প্রতিনিধি দল কৃষকদের আন্দোলনস্থলে পাঠানো হবে। সেই দলের হয়েই কুনদিল সীমান্তে কৃষকদের প্রতিবাদে অংশ নিতে যান রাজেন্দ্র। তাঁর ছেলে জানিয়েছেন, বুধবার হঠাৎ করে আন্দোলনস্থলেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তারপর তড়িঘড়ি সোনিপতের সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানে আনার পরেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রেখে দেওয়া হয় দেহ। পরের দিন যখন দেহ বার করা হয়, তখন দেখা যায়, শরীরে একাধিক ক্ষত তৈরি হয়েছে মৃত কৃষকের। তাঁর দেহ রক্তাক্ত, এক অংশের মাংস খুবলে খেয়েছে ইঁদুর।
এই ঘটনা সামনে আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন মৃতের পরিবারের সদস্যরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে আসেন হাসপাতালের সুপার। কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘‘একটি ৩ সদস্যের কমিটি তৈরি করা হয়েছে ঘটনার তদন্ত করার জন্য। এই সময়ের মধ্যে যে কর্মীরা হাসপাতালের কাজে ছিলেন, তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। অপরাধীকে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে।’’ এই ঘটনা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে কংগ্রেসও। দলীয় স্তরে তাঁরা বিবৃতি জারি করে হরিয়ানার বিজেপি-জেজেপি সরকারকেও তীব্র আক্রমণ করেছে।