কিম জং উনের নাম শুনলে প্রথমেই যে অভিব্যক্তি গুলো মাথায় আসে, ক্ষোভ, ঘৃণা আর হতাশা তাদের মধ্যে অন্যতম। ভারতের উত্তর পূর্ব কোণে চিন পেরিয়ে গেলে আসে একটা ছোট্ট দেশ।তার নাম উত্তর কোরিয়া। আপাত দৃষ্টিতে দেখতে গেলে উত্তর কোরিয়া দেশটি গোটা বিশ্বের বিচারে খুবই ক্ষুদ্র। কিন্তু তা সত্ত্বেও উত্তর কোরিয়া যে বিশ্বের সবচেয়ে বিতর্কিত দেশ, সে বিষয়ে সন্দেহ নেই কোনো।

08 47 35 images
Worldmap

উত্তর কোরিয়ার শাসনব্যবস্থা একনায়কতান্ত্রিক। বিশ শতকের প্রথমার্ধে জার্মানির হিটলারী শাসনকে মনে করায় একুশ শতকের উত্তর কোরিয়া। প্রেসিডেন্ট কিম জং উন উত্তর কোরিয়ার সর্বেসর্বা। শুধু তাই নয়, আদ্যপান্ত গোপনীয়তায় মোড়া কিমের দেশ। উত্তর কোরিয়ার প্রাচীরের ওপারে যে ঠিক কী চলছে, তা গোটা বিশ্ব কানাঘুষো গুজবে আন্দাজ করে নেয় মাত্র। আর মাঝে মাঝে উত্তর কোরিয়ার প্রাচীর ডিঙিয়ে প্রাণ হাতে করে পালিয়ে এসে কেউ কেউ বর্ণনা দেয় বিভীষিকাময় জীবনের।

08 42 08 images
USA today

আর উত্তর কোরিয়ার একনায়ক কিম জং উনের যৌন জীবন সম্পর্কে যে তথ্য আজ আমাদের সামনে এসে দাঁড়িয়েছে তারও কোনো প্রত্যক্ষ প্রমাণ পাওয়ার উপায় নেই। এ সম্পর্কে অনেকটা নির্ভর করে থাকতে হয় প্রতিবেশী দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টের উপর। আসুন জেনে নেওয়া যাক কিম জং উনের যৌন জীবন সম্পর্কে কিছু কথা, যা ঘৃণায় শিহরিত করবে আপনাকেও।

কিম জং উনের বৈবাহিক জীবন:

08 42 29 images
KXLY.com

কিম জং উনের বিবাহিত স্ত্রী হলেন রি সোল জু। ২০০৯ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন উত্তর কোরিয়ার সম্রাট কিম জং উন। তবে এই আনুষ্ঠানিক বিয়ে ছাড়া কিমের আর বিয়ে আছে কিনা, তা জানা যায় না। যদিও আরো একাধিক বৈবাহিক সম্পর্কের দাবি করা হয় বিভিন্ন মহলে। কিম জং উন এবং রি সোল জুর অন্তত একটি সন্তানের কথা সর্বজনস্বীকৃত। তাঁদের কন্যার নাম কিম জু এই (Kim ju-ae)। তবে এক্ষেত্রেও রয়েছে বিতর্ক। দাবি করা হয় কিমের আরো অন্তত ৩টি সন্তান রয়েছে। কিন্তু এ বিষয়েও দাবির কোনো প্রত্যক্ষ ভিত্তি পাওয়া যায় না।

https://www.biography.com/dictator/kim-jong-un

কিম জং উনের দেশে যৌনতা:

08 43 26 images
business indsider

কিম জং উনের উত্তর কোরিয়ায় জন্ম নিয়ন্ত্রণের কোনো নির্দিষ্ট আইন নেই। যত বেশি সংখ্যক সন্তান উৎপাদন করার জন্য উৎসাহ এমনকি চাপও দেওয়া হয় মানুষে। বিশ শতকের ৮০-র দশকের শুরুর দিকে এক কোরিয়ান আমেরিকান স্কলার উত্তর কোরিয়ায় গিয়েছিলেন। ফিরে এসে সে দেশের মানুষের যৌন জীবন সম্পর্কে এই তথ্য জানান তিনি। পরে এই তথ্য অনেকেই সমর্থন করেন। বস্তুত, দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির মাধ্যমে প্রশাসনিক ক্ষমতা আরো বাড়ানোর জন্যেই যে সন্তান উৎপাদনে উৎসাহ দেওয়া হয়, তা বুঝতে খুব একটা অসুবিধা হয় না।

কিম জং উনের যৌন জীবন:

08 44 10 images
daily mail

কিম জং উনের যৌন জীবন সম্পর্কে কোনো তথ্যই আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃত নয়। কিন্তু তা যে বহু মানুষের দ্বারা সমর্থিত তা বলাই বাহুল্য। জানা যায়, কিম জং উন নিজের যৌন আকাঙ্ক্ষা পরিতৃপ্ত করতে ব্যবহার করেন যৌন দাসীদের। যৌন দাসীর একটি দল সর্বদা উত্তর কোরিয়া সম্রাটের সেবায় নিয়োজিত থাকেন। বলা বাহুল্য এই দাসীরা সকলেই যুবতী।

কিম জং উন এবং কিপ্পুমজো (kippumjo):

08 45 07 images
new York post

কিপ্পুমজো হয় একটি বিশেষ দল যাকে pleasure group-ও বলা হয়ে থাকে। এটি মোট ২০০০ রমণীর একটি সমষ্টি যাঁরা উত্তর কোরিয়ার একনায়কের মনোরঞ্জনের জন্য নিয়োজিত। মনোরঞ্জনের মাধ্যম যে যৌনতা বা শারিরীক সম্পর্ক স্থাপন, তা বলাই বাহুল্য।

তবে শুধুমাত্র উত্তর কোরিয়ার সম্রাটই নন, এই ২০০০ রমনী বা যৌন দাসীকে ভোগ করেন উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ওয়াকার্স পার্টি অফ নর্থ কোরিয়ার (WPK) অন্যান্য উচ্চ পদস্থ কর্মচারীরাও। কখনো কখনো বিশেষ অতিথিদের জন্যেও খোলা থাকে কিপ্পুমজোর দরজা।

দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবরে জানা যায়, কিপ্পুমজো দলটি কিম জং উনের আগে থেকেই অস্তিত্বশীল। তাঁরা এর আগে কিম জং উনের বাবার জন্যেও কাজ করত। শারিরীক সম্পর্কের পরিবর্তে এইসমস্ত মেয়েদের দেওয়া হয় উপহার এবং মোটা অঙ্কের অর্থ। যৌবন পেরিয়ে যখন ঘরে ফেরে তারা অন্তত ৪০০০ ডলার পারিশ্রমিক হিসেবে পায় কিপ্পুমজোর সদস্যরা। এছাড়া, তাদের আলাদা ইউনিফর্ম থাকে। কিপ্পুমজোর সদস্যরা অধিকাংশই হয় স্কুলের ছাত্রী, অর্থাৎ নাবালিকা।

কিম জং উন এবং অলিম্পিকের চিয়ারলিডার:

কিম জং উন
Opindia

সূত্রের খবর অনুযায়ী, যে সমস্ত উত্তর কোরিয়ান চিয়ারলিডার অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করেন, তাঁরা আদতে এই কিপ্পুমজোর সদস্য। অর্থাৎ যৌন দাসী হিসেবেই ব্যবহৃত অলিম্পিকের নর্থ কোরিয়ান চিয়ারলিডাররা। ইচ্ছের বিরুদ্ধেই উচ্চ পদস্থ রাজনৈতিক কর্মীদের শয্যা সঙ্গী হতে হয় তাদের।

https://www.banglakhabor.in/wp-admin/post.php?post=9150&action=edit