নিজস্ব সংবাদদাতা: ২০১৬-র রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে তিনি জেল থেকে লড়ে পরাজিত হয়েছিলেন সিপিএম প্রার্থী মানস মুখোপাধ্যায়ের কাছে। তবে গত পাঁচ বছরে পাশের গঙ্গা দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে। আর এবারও ভোট-যুদ্ধে আবার কামারহাটিতেই মদন মিত্র। তৃণমূলের এই মিত্রমশাই বঙ্গ রাজনীতিতে সব সময়ই আলাদা। ভোটের আগে এ বার তিনি ‘ও লাভলি’ মিউজিক ভিডিও প্রকাশ করে সাড়া ফেলেছেন। বর্ণময় তাঁর ভোটপ্রচারও। গত ৪ এপ্রিল মদন মিত্রের সমর্থনে প্রচার করে গিয়েছেন তৃণমূলের সাংসদ-অভিনেত্রী নুসরত জাহান। তাঁর প্রচারে যেমন টলি তারকারা আছেন, তেমনই রোড শো করেছেন বলিউডের মহিমা চৌধুরীও।

তবে মদন মানছেন যে তাঁর প্রধান প্রতিপক্ষ আর এক মিত্র। সিপিএমের সায়নদীপ মিত্র। এ বার ভোটে সিপিএম যে ক’জন নজরকাড়া তরুণ-তরুণীকে প্রার্থী করেছে, সেই তালিকার অন্যতম মুখ সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফের রাজ্য সম্পাদক সায়নদীপ মিত্র। লোকসভা ভোটের নিরিখে তৃণমূল এই আসনে ১৭ হাজারের বেশি ভোটে এগিয়ে। কিন্তু ‘হাল ফেরানোর’ লড়াইয়ে হাল ছাড়ছেন না সায়নদীপ। অলিগলি, তস্য গলিতে ঘুরছেন। প্রায় প্রতিটি বাড়ি, আবাসনের দরজায় গিয়ে তিনি বলছেন কর্মসংস্থানের কথা। সায়নদীপের প্রচারে অল্পবয়সি ও মহিলাদের উপস্থিতি নজর কাড়ছে। প্রচারে বলছেন, ‘‘গত ১০ বছরে উনি (মদন মিত্র) এবং ওঁর দল কামারহাটির রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে তছনছ করে দিয়েছেন।’’

গত ১০ বছরে কামারহাটিতে উন্নয়ন হয়নি, এমন কথা কেউই বলছেন না। তবে সেখানকার বিজেপি প্রার্থী রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ‘‘তৃণমূল জমানায় কামারহাটিতে টাকা ছাড়া কিছু হয় না। এ বার আসল পরিবর্তন।’’ সবমিলিয়ে কামারহাটিতে অঙ্ক কষছে তিন শিবিরই। মদনের চিন্তা, লোকসভার মতো কি এ বারও বামভোট বিজেপিতে যেতে পারে। কামারহাটিতে অন্তত ৬০ হাজার সংখ্যালঘু ভোট। বিজেপি-ভীতিতে এই ভোটের বড় অংশ তৃণমূলে গেলে স্বস্তিতে থাকবেন মদন। উদ্বাস্তু ভোটও রয়েছে। তার বড় অংশ এ বার তাদের দিকে বলে দাবি পদ্ম-শিবিরের।