শুক্রবার থেকে বন্ধ হয়ে গিয়েছে একাধিক নামী সিঙ্গল স্ক্রিন সিনেমা হল
কিছু মাস আগে চিরতরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে বাঙালির অতিহ্যবাহী সিনেমা হল মিত্রা। সেই ঘটনারই পুর্বাভাস মিলল, করোনার জেরে দীর্ঘদিন সিনামাহলগুলি বন্ধ থাকার দরুন ব্যাবসায় চরম ক্ষতি হয়েছে হল মালিকদের।
আনলক প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর ও তেমন লাভের মুখ দেখছেন না তারা। হল মালিকদের কথায়- নিউ নর্মাল বিধি মেনে একাধিক সুরক্ষা বিধি মেনে হল চালাতে হচ্ছে তাঁদের তার জেরে খরচা ও খানিক বেড়েছে অন্যদিকে কিন্তু সেভাবে অ্যায় হচ্ছে না হল খোলার পর গুটি কয়েক লোক আসছে সিনেমা দেখতে ফলে হলে বিদ্যুতের খরচ সহ আর ও নানা খরচের ধাক্কা সামলাতে একেবারে নাজেহাল অবস্থা হল মালিকদের। তারা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন এতবড় এস্টাবলিশমেন্ট চালানো তাঁদের পক্ষে আর সম্ভব হয়ে উঠছে না। আর তার জেরেই হল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। শুক্রবার থেকে পুরোপুরি ভাবে বন্ধ হয়ে গেল কলকাতা ও শহরতলির বেশ কিছু নামী সিঙ্গল স্ক্রিন সিনেমা হল। সেই তালিকায় রয়েছে প্রিয়া, মেনকা, প্রাচী, ইন্দিরা, অশোকা, জয়া, বায়োস্কোপ (দুর্গাপুর), ডাকবাংলো (বারাসাত)।
হল মালিকেরা কর্মীদের মাসিক বেতনের পরিবর্তে শুধু তাঁদের কাজের দিনে বেতন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।এই বিষয়ে ছবি বিশেষজ্ঞ পঙ্কজ লাডিয়ার জানিয়েছে ‘‘এক মাসের মধ্যেই কিছু হল হঠাৎ করে বন্ধ হল কেন? আরও কিছুদিন সময় দেওয়াই যেত। একবার হল খুলছে। আবার বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। বড় ব্যানারের ছবি এলে এই হলগুলোই আবার খুলে যাবে। এই ভাবনা বোধহয় ঠিক নয়।’’ তার মতে সারাদিন হল না খুলে রেখে কেবল মাত্র শো টাইমে হল খোলার সিদ্ধান্ত নিলে যে বাংলা ছবিগুলি এখনও চলছে, সেগুলির অন্তত ক্ষতি হত না।
কলকাতার এই ঐতিহ্যবাহী প্রেক্ষাগৃহ গুলি বাঙালীর নস্টালজিয়ার সাক্ষী। বন্ধুদের সাথে প্রথমবার সিনেমা দেখতে যাওয়া কিংবা প্রথমবার প্রেমিকার হাত ধরে পাশাপাশি সিনএমা দেখার মিষ্টি অভিজ্ঞতা অনেকের অনেক স্মৃতি ভাললাগা,ভালবাসা জড়িয়ে এই সিনেমা হল গুলির সাথে। এইভাবে একে একে সিনেমা হল গুলি বন্ধ হয়ে গেলে একদিকে যেমন বাঙালী তাদের ঐতিহ্য হারাবে তেমনি অন্যদিকে বহু মানুষ হারাবে কর্মসংস্থান। এই দুঃসময় কাটিয়ে কি আবার উঠবে সিঙ্গেল স্ক্রিনের পর্দা? এখন তা শুধু সময়ের অপেক্ষা।