নিজস্ব সংবাদদাতা: পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফা অনুষ্ঠিত হতে বাকি আ মাত্র ৪ দিন। এমতাবস্থায়,ভোটমুখী বাংলায় সবথেকে বড় ইস্যু কী? ঠিক কোন বিষয়টি এবারের ভোটে প্রভাব ফেলতে পারে সবচেয়ে বেশি? একাধিক প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে রাজনৈতিক মহল।
নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর বাঁ পায়ে সেই যে চোট পেয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়,তারপর থেকে হুইলচেয়ারে চেপেই জেলা জেলায় জেলায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন তিনি। আর যেখানেই যাচ্ছেন,তাঁর মুখে শোনা যাচ্ছে কর্মসংস্থানের ঢালাও প্রতিশ্রুতি। চাকরিতে নিয়োগ, দুর্নীতি বিরোধিতা ইত্যাদিকে প্রচারের হাতিয়ার করেছে গেরুয়া শিবিরও। এমনকি বামফ্রন্ট কিংবা কংগ্রেসী ইস্তেহারেও দেখা গেছে কর্মসংস্থানের ঢালাও আশ্বাস। ফলে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে সবথেকে বড় ইস্যু হয়ে উঠেছে চাকরি, তা বলাই বাহুল্য।
গত বছরের করোনা অতিমারী পরিস্থিতি ভারতের বিভিন্ন প্রান্তের মতো এ রাজ্যের কর্মসংস্থানের ছবিটাও দেখিয়ে দিয়েছে চোখে আঙুল দিয়ে। লকডাউনে ঘরে ফিরতে সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন বিপুল সংখ্যক পরিযায়ী শ্রমিক। বাংলায় চাকরি নেই, তাই পেটের টানে যেতে হয়েছে ভিন রাজ্যে, এমনটাই অভিযোগ তুলে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিরোধী দলগুলি। এদিকে তৃণমূল সরকারের আমলে চাকরিতে নিয়োগের নামে দুর্নীতির অভিযোগ নতুন নয়, হামেশাই লেগে রয়েছে। এসএসসি থেকে টেট, নিয়োগের দাবিতে বারবার পথে নেমেছেন হবু শিক্ষকরা। এমনকি চাকরিপ্রার্থীদের অনশনও দেখেছে রাজ্য।
এমতাবস্থায় কর্মসংস্থান ইস্যুকে প্রধান হাতিয়ার করে ভোটের ময়দানে কোমর বেঁধে নামতে দেরি করেনি বিরোধীরা। পদ্ম হোক কিংবা হাতুড়ি কাস্তে, সবার হতে কাজের জোরালো দাবি তুলেছে সকলেই। চাকরির ইস্যু নিয়ে কিন্তু টনক নড়েছে স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও। ভোটের আগে তাই তিনি দিয়ে চলেছেন দ্বিগুণ শিক্ষক ও চিকিৎসক নিয়োগের আশ্বাস। নীল বাড়ির ক্ষমতায় ফিরে হ্যাট্ট্রিক করার পথে চাকরি ইস্যুর কাঁটা ঠিক কতটা উপড়াতে পারবেন তৃণমূল সুপ্রিমো, সেটাই এখন দেখার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।