নিজস্ব সংবাদদাতা: ভোটের রাজনীতিতে ওঁরা শূন্য। হেরো। বাংলা থেকে লোকসভায় কোনো প্রতিনিধি নেই। বিধানসভাতেও কোনো বিধায়ক নেই তাঁদের। তবুও তাঁরা দমতে নারাজ। কোনও কিছুর কাছেই হার মানতে নারাজ এই দামাল ছেলেমেয়েদের দল। রাতবিরেতে ছুটে চলেছে করোনায় আক্রান্ত মুর্মুষ রোগীকে বাঁচাতে। অক্সিজেন থেকে ওষুধ। অ্যাম্বুল্যান্স থেকে ডাক্তার। সব প্রয়োজনেই ভোটের অংকে শূন্য দলের ছাত্র যুবরা। তাঁদের কাজ নিয়ে এবার ফের তৈরি হলো প্যারোডি। বামেদের ব্রিগেডের আগে তুমুল জনপ্রিয় হয়েছিল টুম্পা বা লুঙ্গি ডান্সের প্যারোডি।
আর এবার ২০১০ ফুটবল ওয়ার্ল্ড কাপের সেই ‘ওয়েভিং ফ্ল্যাগ’-এর সুর। সঙ্গে লাল ব্যাকগ্রাউন্ডে নিখুঁত মাল্টিমিডিয়ার কাজে ফুটে উঠছে ‘রেড ভলান্টিয়ার্স’দেরই নানা কাজের চিত্র। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হতেই মূহুর্তে ভাইরাল সেই প্যারোডি গানের ভিডিও। উল্লেখ্য, একঝাঁক তরুণ মুখকে সামনে এনে ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে কামব্যাকের আশায় ছিল আলিমুদ্দিন। কামব্যাক দুর অস্ত। মুখ থুবড়ে পড়েছে বামেদের স্বপ্ন। ভোট প্রচারের ‘বাইনারি’ তলানিতে নিয়ে গিয়েছে লালপার্টির ভোট ব্যাংক। কিন্তু ওদের যে ‘লজ্জা, ঘৃণা, ভয়- তিন থাকতে নয়’। মানুষ যখন বিপদে, তখন ঘরে বসে থাকতে নারাজ এই দামালের দল। আর্ত মানুষের সাহায্যে দিনরাত এক করছে ‘রেড ভলান্টিয়ার্স’। লড়াই লড়ব, একসঙ্গে জিতব। মন্ত্র ওঁদের।
ভোটে হারার পরেও একদিনও বসে থাকেনি বামপন্থী মনোভাবাপন্ন এই তরুণ প্রজন্ম। বরং করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পরে ‘রেড ভলান্টিয়ার্স’ নাম দিয়ে নিজেদের দল তৈরি করে দৌড়ে বেড়াচ্ছে রাজ্যের সর্বত্র। ওয়েবসাইটে প্রতি জেলার ভলান্টিয়ারদের নাম ও নম্বরের তালিকা দেওয়া হয়েছে। নিজেদের বার্তা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে ওয়েভিং ফ্ল্যাগের সুরে গান বেঁধেছে তারা। সেখানে করোনার এই সংকটকালে কীভাবে তারা ‘বন্ধুর’ পথে মানুষের পাশে থেকে এই লড়াইয়ে জেতার অঙ্গীকার করেছে, সে কথাও জানিয়েছে। গানের কথায় সরকার বিরোধিতাকেও জায়গা করে দেওয়া হয়েছে। এমনকি ভোটে না জেতার কথাও বাদ পড়েনি। কটাক্ষ শুনতে হচ্ছে, কিন্তু সেসব কে পাত্তা না দিয়েই ছুটে চলেছে রেড ভলান্টিয়ার্সরা।