নিজস্ব সংবাদদাতা: গত মার্চ থেকেই করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে গোটা দেশে। যার ফলে পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ থেকে খারাপতর হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কোভিডের দ্বিতীয় সংক্রমণের ঢেউয়ে ভারতের মতো অসহায় পরিস্থিতি আর কোনো দেশেরই হয়নি। এবার আরও খারাপ খবর মিলল দেশবাসীর জন্য। সূত্রের খবর, আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই গোটা দেশে করোনা সংক্রমণ শীর্ষে যেতে চলেছে। যার ফলে প্রবলভাবে বাড়তে চলেছে মৃত্যুর হারও।
তবে আশার আলোও দেখিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। জানিয়েছেন, মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে পরিস্থিতি খারাপ হলেও জুনের মাঝামাঝি থেকেই ফের এই অবস্থা বদলের সম্ভাবনা রয়েছে। তখন দিনে ২০ হাজার মানুষ আক্রান্ত হতে পারেন। সেই সংখ্যাটা স্বস্তিদায়ক না হলেও সাম্প্রতিক কোভিড পরিস্থিতির সাপেক্ষে ভালো তো বটেই! তার কারণ, গত ১৫ দিনে ভারতে দৈনিক সংক্রমণ ৪ লক্ষও পার করে গেছে৷ এখনও পর্যন্ত দেশে সর্বমোট আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ২ কোটি ১০ লক্ষ নাগরিক। সেক্ষেত্রে, লক্ষ-কোটির তুলনায় সংক্রমণের গ্রাফ হাজারে এসে নামাটা এক দিক দিয়ে শুভ সংকেত তো বটেই। এমনটাই মত স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের।
অবশ্য এই মারণ ভাইরাসের নয়া ভ্যারিয়েন্টের চরিত্র বেজায় পরিবর্তনশীল। যার জেরে চিকিৎসক কিংবা গবেষকদের আগাম অনুমান বারবার ভুল প্রমাণিত হয়েছে। যেমন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পরামর্শদাতাদের একটি বিশেষ টিম জানিয়েছিল গত মাসের মাঝামাঝি দেশে সংক্রমণের গ্রাফ সর্বোচ্চ বিন্দু স্পর্শ করবে। তবে বাস্তবে তাঁদের ভবিষ্যদ্বাণী একবিন্দুও মেলেনি। দেখা গিয়েছে, এপ্রিলের বদলে চলতি মাসে করোনা সংক্রমণ সমস্ত রেকর্ড ভেঙে বল্গাহীন গতিতে ছড়িয়ে পড়েছে।
যদিও ওই একই দল সর্বশেষ যে মডেলটি বানিয়েছে, তা দেশের অন্যান্য বিজ্ঞানীদের রিপোর্টের সঙ্গে হুবহু মিলে গেছে। সেখানে বলা হয়েছে, এই মে মাস করোনা নিয়ন্ত্রণের পক্ষে ভীষণই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। চলতি মাসের মাঝামাঝি সমস্ত রেকর্ড ভেঙে ফেলবে কোভিড। গ্রাফ শীর্ষ ছোঁবে। তারপর ধীরে ধীরে সেটা নীচে নামতে শুরু করবে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে ৪ লক্ষ ১২ হাজার আক্রান্তের খবর মিলেছে। মারা গেছেন প্রায় ৪ হাজার মানুষ। যদিও বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পরিসংখ্যান স্বচ্ছ নয়। কারণ, রোজই প্রতিটি রাজ্যের হাসপাতাল ও শ্মশানে মৃতদেহের ভিড় উপচে পড়ছে। ফলে নির্দিষ্টভাবে কখনোই আসল সংখ্যা হাতে আসছে না।