নিজস্ব সংবাদদাতা: প্রায় বছর খানেকেরও বেশি সময় ধরে করোনা ভাইরাসের যে অতিমারী ধ্বংসলীলা চালিয়েছে গোটা পৃথিবীর আনাচে কানাচে, ভ্যাকসিন আবিষ্কারের পর এখন ধীরে ধীরে কেটে যাচ্ছে তার মেঘ। শুধু তো লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রাণ নেয় নি এই ভাইরাস, মানুষের দৈনন্দিন জীবনের স্বাভাবিক ছন্দকেও এলোমেলো করে দিয়েছে। কিন্তু অতিমারী পরবর্তী সময়ের জনজীবন এখন ক্রমশ স্বাভাবিকের পথে। ভারতেও গত কয়েক মাস ধরে করোনা আক্রান্তের সংখ্যার গ্রাফটা রয়েছে নিম্নমুখী। এই আবহের এবার দেশবাসীর জন্য এল সুখবর।
আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে করোনা অতিমারীর প্রভাব দেশের বাকি অঞ্চলের মতো তীব্র আকার ধারণ করে নি কখনোই। তবু এখানকার সংক্রমণের হারটাও নেহাত কম ছিল না। এবার ভারতের প্রথম করোনা মুক্ত অঞ্চল ঘোষণা করা হল আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জকে। বর্তমানে এটিই ভারতের রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গুলির মধ্যে প্রথম যেখানে করোনা ভাইরাসের সক্রিয় রোগীর সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে শূন্যতে। অবশ্য এই তথ্য সাময়িক ভিত্তিতেই, জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
এদিন আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের করোনা পরিস্থিতির পর্যালোচনা করে ওয়েবসাইটে একটি রিপোর্ট পেশ করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। বলা হয়, বঙ্গোপসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জে শেষ ৪ জন করোনা রোগী সক্রিয় ছিলেন। অবশেষে তাঁদের সুস্থ ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে ওই দ্বীপাঞ্চলে বর্তমানে আর কোনো সক্রিয় করোনা সংক্রমণের ঘটনা নেই। জানা গেছে, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে এযাবৎ মোট করোনা সংক্রমণের সংখ্যা ৪৯৩২। এঁদের মধ্যে ৬২ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে এই দ্বীপাঞ্চলে।
বঙ্গোপসাগরের দ্বীপপুঞ্জ আশার আলো দেখালেও কেন্দ্রের চিন্তা বাড়িয়েছে কেরালা। এদিন দেশের মোট করোনা সংক্রমণের ঘটনার প্রায় অর্ধেকই ঘটেছে কেরালায়। মঙ্গলবার দেশে নতুন করে ১১০২৪ জনের শরীরে মারণ ভাইরাসের খোঁজ মিলেছে, আর তার মধ্যে ৫৭১৬ জনই রয়েছেন কেরালায়। বর্তমানে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যাটাও এই রাজ্যেই সবচেয়ে বেশি।
ভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যায় এখনও শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্রের নাম। মঙ্গলবারই মহারাষ্ট্রে করোনায় মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৩০ জনের।