নিজস্ব সংবাদদাতা: ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে সর্বপ্রথম চিনেই ধরা পড়েছিল কোভিড-১৯। একাধিকবার অভিযোগ উঠেছে, চিন-ই ইচ্ছাকৃত ভাবে গোটা বিশ্বে করোনা ছড়িয়েছে। এব্যাপারে নাকি গুরুত্বপূর্ণ নথি রয়েছে মার্কিন বিদেশ দফতরের হাতেও। যদিও বেজিং স্বাভাবিক ভাবেই এমন অভিযোগকে দৃঢ়ভাবে নস্যাৎ করে দিয়েছিল। কিন্তু এবার চিনেরই এক ভাইরাস বিশেষজ্ঞ ফের অভিযোগ করলেন, লালফৌজের গবেষণাগার থেকেই জীবাণুযুদ্ধের মহড়া হিসেবেই ওই মারণ ভাইরাস পরিবেশে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। লি-মেং ইয়ান নামের ওই চিনা ভাইরাস বিশেষজ্ঞের এমন দাবি ঘিরে কিছুদিন ধরেই তোলপাড় গোটা বিশ্ব।
এবার এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেই একই দাবি করতে দেখা গেল তাঁকে। ওই সংবাদমাধ্যমের তরফে তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, উহানের বাজার নয়, লাল ফৌজের গবেষণাগারেই এই কোভিড-১৯ ভাইরাসের যে জন্ম হয়েছে, এই কথা লি-মেং ইয়ান কীসের ভিত্তিতে বলছেন? এর উত্তরে ওই চিনা বিজ্ঞানীর সাফ কথা, ‘‘গত জানুয়ারি থেকেই ইউটিউবের মাধ্যমে আমি সকলকে জানাতে শুরু করেছিলাম যে পিপলস লিবারেশন আর্মি-র গবেষণাগারেই জন্ম এই ভাইরাসের। ইচ্ছাকৃত ভাবেই তা ছড়ানো হয়েছিল। চিনের সরকার এটা ভাল করেই জানে।’’
এর পাশাপাশি তাঁর দাবি, প্রচুর অর্থ বরাদ্দ করে ওই ভাইরাসকে তৈরি করেছিল চিন এবং তা ছড়িয়ে দিয়েছিল বাতাসে। তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে দেওয়া এবং সেই সঙ্গে নিজেদের প্রতিপক্ষ দেশগুলির চিকিৎসা কাঠামোকেই নড়বড়ে করে দেওয়াই লক্ষ্য ছিল বেজিংয়ের। একইসঙ্গে ওই বিজ্ঞানী জানিয়েছেন, তাঁর এই অভিযোগের সপক্ষে জোরদার বৈজ্ঞানিক প্রমাণ রয়েছে তাঁর কাছে। পাশাপাশি গোয়েন্দা সূত্রে পাওয়া বেশ কিছু তথ্যপ্রমাণও রয়েছে। তাঁর আরও দাবি, এই সব প্রমাণ এমন অকাট্য চিনের পক্ষেও তা অস্বীকার করা সম্ভব নয়। কিন্তু তবু বেজিং এসবকে আড়াল করতে ভুয়ো প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।