নিজস্ব সংবাদদাতা: চলতি সপ্তাহের শুরু থেকেই গোটা দেশে অনেকটাই কমেছে করোনা সংক্রমণ। তবুও বাড়ছে দৈনিক মৃত্যু। পরিসংখ্যান বলছে, প্রায় একই অবস্থা রাজ্যেও। বিষয়টি সত্যিই ‘হাইলি সাসপিশাস!’ হ্যাঁ, রহস্যজনক তো বটেই। ভারতে গত ২৪ ঘন্টায় করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ২ লক্ষ ৬৭,৩৩৪ জন। মৃত্যু একদিনে সর্বোচ্চ- ৪,৫২৯। গত ১৩ মে দেশে সংক্রমিত হয়েছিলেন ৩,৬২,৭২৭ জন। মৃত ৪,১২০ জন। এর পরের দিন, অর্থাৎ ১৪ তারিখে সংক্রমিত ৩,৪৩,১৪৪ জন। মৃত্যু হয়েছিল ৪,০০০ জনের। ১৭ মে সংক্রমিত হয়েছিলেন ২ লক্ষ ৮১,৩৮৬ জন। মৃতের সংখ্যা ৪,১০৬। সত্যিই কি রহস্য নয়?
ঠিকই একইরকমভাবে সংক্রমণ কমেছে বাংলাতেও। মৃত্যুর সংখ্যা সারা দেশের মতো না বাড়লেও কমেনি। গত কয়েকদিন প্রায় একই সংখ্যা রয়েছে রাজ্যের করোনায় মৃতের। গত ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ১৯,৪২৮ জন। মৃত্যু হয়েছে ১৪৫ জনের। গত ১৩ মে রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২০,৮৩৯ এবং ১৪ মে ২০,৮৪৬ জন। আর গত ২৪ ঘন্টায় ১৯,৪২৮ জন। অর্থাৎ, পরিসংখ্যান বলছে, দেশের মতই রাজ্যেও একইভাবে সংক্রমণের পরিমাণ কমছে। রাজ্যে কোভিডে এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে ১৬ এবং ১৭ তারিখ। ১৪৭ জন করে। যা দেখা যাচ্ছে, বাংলায়ও সংক্রমণের পরিমাণ কমছে। কিন্তু সেই তুলনায় মৃত্যু কমছে না। গোটা দেশের ক্ষেত্রে সেই চিত্রটা আরও স্পষ্ট।
এই রহস্যের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে স্বাস্থ্যক্ষেত্রের সঙ্গে জড়িত অভিজ্ঞ এবং ওয়াকিবহালদের প্রাথমিক ব্যাখ্যা, সংক্রমণ কোথায় কত হচ্ছে, তা একমাত্র জানা যাবে কোভিড পরীক্ষা করালে। পরীক্ষা করালে কোভিড পজিটিভ হলে তার নথিও থাকবে। তবেএ অনেক ক্ষেত্রেই পরীক্ষা করানো হচ্ছে না। আবার পরীক্ষা করানো হলেও তা ঠিকমতো নথিভুক্ত করানো হচ্ছে না। কিন্তু মৃত্যুর ক্ষেত্রে তা নথিভুক্ত না করানোর কোনও উপায় নেই। ফলে সেই পরিসংখ্যান ঠিকঠাকই এসে পৌঁছচ্ছে। সেইজন্য তার তথ্যপ্রমাণও থাকছে। চিকিৎসক মহলের একাংশের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় সরকার অনেক ক্ষেত্রেই সংক্রমণের পরিমাণ কমিয়ে দেখাতে সচেষ্ট। যার ফলে সেই নথি নিয়ে অনেক ক্ষেত্রেই ‘কারিকুরি’ করা হচ্ছে। কিন্তু মৃত্যু নিয়ে তা করার জো নেই। এর ফলে দৈনিক সংক্রমণ কমছে। মৃত্যু বাড়ছে।