নিজস্ব সংবাদদাতা: কয়লাপাচার কাণ্ডের তদন্তে এবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে পৌঁছল সিবিআই। রবিবার দুপুর ২টো নাগাদ অভিষেকের কালীঘাটের বাড়িতে গিয়ে তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য নোটিশ দিয়েছেন গোয়েন্দারা। সূত্রের খবর, কয়লাকাণ্ডে অভিষেকের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত বিষয়ে কিছু তথ্যের প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছে সিবিআই৷ আজ নোটিশ দিতে কালীঘাটে যান ৫ জন সিবিআই আধিকারিক৷ এদিকে, বাড়িতে কেউ না থাকায় বিড়ম্বনায় পড়তে হয় তাঁদের৷ বাড়ি ফাঁকা থাকায় কাকে নোটিস দেওয়া হবে, তা নিয়ে তৈরি হয় বিভ্রান্তি৷

অন্যদিকে, রাজনৈতিক কারণে সিবিআইকে ব্যবহার করছেন অমিত শাহ, এমনটাই দাবি তৃণমূল নেতৃত্বের৷ এদিন তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়, এটা একটা নিখুঁত চিত্রনাট্যের অংশ মাত্র। নামখানায় দাঁড়িয়ে অমিত শাহ অভিষেকের বিরুদ্ধে যা বলেছেন, তাঁকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে মানহানির মামলা করেছেন অভিষেক। আগামীকাল সেই মামলায় আদালতে হাজিরা দেওয়ার কথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বা তাঁর প্রতিনিধির। সেই শুনানির আগে পালটা চাপ তৈরি করতে অভিষেকের বাড়িতে নোটিশ দিতে গিয়েছে সিবিআই।

এদিকে, স্ত্রীকে সিবিআইয়ের নোটিশ দেওয়া নিয়ে প্রথম প্রতিক্রিয়া দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ বিকেলে এক টুইটে অভিষেক জানিয়েছেন, “আইনের ওপর তাঁদের সম্পূর্ণ ভরসা রয়েছে।” সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, “এসব করে কেউ তাঁকে ভয় দেখাতে পারবেন না।” টুইটারে অভিষেক লেখেন, “আজ বেলা ২টোয় আমার স্ত্রীর নামে সিবিআই একটি নোটিশ দিয়েছে। দেশের আইনে আমাদের সম্পূর্ণ ভরসা রয়েছে। কিন্তু ওরা যদি ভেবে থাকে যে এসব করে আমাদের ভয় দেখাবে, তাহলে ভুল করছে। পিছু হঠার বান্দা আমরা নই।”

প্রসঙ্গত, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী সপ্তাহে ভোটের দিন ঘোষণা হতে পারে। ভোটের দিন ঘোষণার আগে খোদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘শান্তিনিকেতনে’ সিবিআইয়ের হাজিরা, নতুন করে তৈরি করেছে বিতর্ক৷ যদিও, এর আগে একাধিক জনসভা থেকে তাঁর বিরুদ্ধে তোলা বিজেপির সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে অভিষেক সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, তোলাবাজির অভিযোগ প্রমাণ করতে পারলে ফাঁসির মঞ্চে উঠে মৃত্যুবরণে রাজি তিনি!

ভোটের মুখে রাজনৈতিক কারণে সিবিআইকে ব্যবহার করছেন অমিত শাহ৷ বাংলার মানুষ এর জবাব অবশ্যই দেবেন। আজ বিকেলে এমনটাই প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ৷ একই সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতারের দাবিও তুলেছেন কুণাল৷ অন্যদিকে, বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের দাবি, “বিনয় মিশ্রকে অভিষেক সাধারণ সম্পাদক করেছিলেন৷ বিনয় মিশ্র এখন ফেরার৷ এর জবাব দিতে হবে অভিষেককে৷ সিবিআই যাবেই৷ শেষ পর্যন্ত যেন দেখতে না হয় ভোটের মুখে ভাইপোকে উড়িষ্যায় থাকতে হয়৷’’