নিজস্ব সংবাদদাতা- ফের বিতর্কে কঙ্গনা রানাওয়াত। এবার গল্প চুরির অভিযোগে বিদ্ধ হলেন বলিউডের এই বিতর্কিত অভিনেত্রী। গতকাল তিনি তার প্রযোজিত এবং অভিনীত নতুন সিনেমার কথা ঘোষণা করেন। তারপরেই তার বিরুদ্ধে গল্প চুরির অভিযোগ তোলেন কাশ্মীরি লেখক আশিস কল।
কঙ্গনা রানাওয়াত গতকাল তার বিখ্যাত সিনেমা “মণিকর্ণিকা: দ্য কুইন অফ ঝাঁসি”-এর সিক্যুয়েল করার কথা ঘোষণা করেন। এই নতুন সিনেমাটির নাম দিয়েছেন “মণিকর্ণিকা: দ্য লেজেন্ড অফ দিদ্দা”। এই সিনেমার কথা ঘোষণা করার পরই কাশ্মীরি লেখক আশিস কল অভিযোগ করেন তার লেখা “দিদ্দা-কাশ্মির কী যোদ্ধা রানী” গল্পের প্লট চুরি করে সিনেমা তৈরি করতে চলেছেন কঙ্গনা!
আশিস কল জানিয়েছেন কাশ্মীরের হিন্দু রানী দিদ্দা-র ওপর তার এক্সক্লুসিভ কপিরাইট নেওয়া আছে। এই বিষয়ে কেউ কোনো কাজ করতে গেলে তার কাছ থেকে অনুমতি নিয়েই করতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। অভিযোগ দিদ্দা’কে নিয়ে সিনেমা বানানোর জন্য তিনি এর আগে কঙ্গনাকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন। যদিও বিষয়টি খুব বেশিদূর এগোয়নি। তিনি অবশ্য এই বিষয়ে এই বিতর্কিত বলিউড অভিনেত্রীর ম্যানেজার তথা দিদি রঙ্গলি চান্দেলের দিকেও অভিযোগের আঙুল তুলেছেন।
আশিস কলের বক্তব্য, “আমি কঙ্গনার কাছে দিদ্দাকে নিয়ে সিনেমা বানানোর প্রস্তাব দিয়েছিলাম। যদিও সেই বিষয়ে আমাকে পরবর্তীকালে কিছু জানানো হয়নি। আমার অনুমান এই বিষয়ে বিস্তারিত কিছু ওনাকে জানাননি তার ম্যানেজার, তাই বিষয়টি আর এগোয়নি।” এই কাশ্মীরি লেখক দাবি করেন দিদ্দাকে নিয়ে ইতিহাসে তিনিই একমাত্র বিস্তারিত কাজ করেছেন! এ বিষয়ে তার বক্তব্য, “একমাত্র কলহন ছাড়া দিদ্দার কথা আর কোনো ঐতিহাসিকের নথিতে জায়গা পায়নি। তাও কলহন মাত্র দু’পাতা লিখেছিলেন তার সম্বন্ধে। আমি আমার জীবনের ছ’টা মূল্যবান বছর খরচ করে এই বিষয়ে গবেষণা করেছি। তাই এতো সহজে নিজের অধিকার ছেড়ে দেবো না।” তার অভিযোগ কঙ্গনা কপিরাইট আইন ভঙ্গের পাশাপাশি ব্যক্তিগত অধিকারেও আঘাত করেছেন।
প্রসঙ্গত কলহনের রাজতরঙ্গিনী থেকে জানা যায় দশম শতকে (৯৮০-১০০০ সাল পর্যন্ত) কাশ্মীরের এক বিধবা হিন্দু রানী ছিলেন দিদ্দা। তিনি তার নাবালক পুত্রের অভিভাবক হিসাবে রাজ্য শাসন করতেন। এই কাশ্মীরি রানীকে নিয়ে সিনেমার কথা ঘোষণা করতে গিয়ে গতকাল কঙ্গনা রানাওয়াত বলেন, “প্রাচীন ভারতে অনেক নারী ছিলেন যারা প্রতিটা ক্ষেত্রে নিজেদের কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে গিয়েছেন। দিদ্দা সেই সময় মেহমুদ গজনীকে দু-দুবার সম্মুখ যুদ্ধে পরাজিত করেছিলেন। এনাদের কথা দেশের মানুষকে জানানো জরুরী।”