করোনা আবহে লকডাউন চলাকালীন সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু নিয়ে প্রথম মুখ খুলেছিলেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত। তারপর থেকে আর তাঁকে থামানো যায় নি। রাজনীতি হোক বা বিনোদন জগত, একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করে তিনি টনক নড়িয়ে দিয়েছেন সকলের। তবে বেলাগাম মন্তব্যের জন্য সমালোচনাও কম হয়নি বলিউডের ‘কন্ট্রোভার্সি ক্যুইন’কে নিয়ে।
গত কয়েকমাস ধরে দিল্লিতে কৃষক আন্দোলন নিয়ে চলতে থাকা অশান্তির বিরুদ্ধে বরাবর সরকারের সপক্ষে সরব হয়েছেন কঙ্গনা রানাওয়াত। অন্নদাতা কৃষকদের জন্য যখন পাশে থাকার আশ্বাস দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বয়ে গেছে বিদেশেও, তখনও লাগাতার আন্দোলনের বিরোধিতা করে চলেছেন তিনি। আর ভারতের এই ‘ঠোঁটকাটা’ অভিনেত্রীর রোষের কোপ থেকে বাদ যাচ্ছেন না বিদেশী তারকারাও।
এদিন ভারতের কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন আমেরিকার পপস্টার রিহানা। মুখ খুলেছেন তরুণ পরিবেশ আন্দোলন কর্মী গ্রেটা থুনবার্গও। শুধু তাই নয়,পর্ণস্টার মিয়া খলিফাকেও এদিন ভারতের কৃষক বিক্ষোভ নিয়ে সরব হতে দেখা গেছে। কিন্তু কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য তাঁদের পড়তে হয়েছে কঙ্গনা রানাওয়াতের কোপের মুখে। পপস্টার রিহানা সহ আমেরিকাবাসী জনগণকে “বোকা” বলে অভিহিত করেছেন তিনি।
ঠিক কী বলেছেন রিহানা আর থুনবার্গ? জানা গেছে, ভারতের কৃষক বিক্ষোভের একটি লিঙ্ক ট্যুইটারে শেয়ার করে রিহানা লিখেছিলেন, “কেন আমরা এই বিষয় নিয়ে কথা বলছি না?” এরপরই সরব হন গ্রেটা থুনবার্গও। ট্যুইটারে তিনি লেখেন, “আমরা ভারতের কৃষক আন্দোলনের পাশে দাঁড়াচ্ছি।” দুই বিদেশীর এই ‘স্পর্ধা’য় গর্জে উঠেছেন কঙ্গনা রানাওয়াত। চাঁচাছোলা ভাষায় তিনি তাঁদের আক্রমণ করেছেন।
এদিন ট্যুইটারে কঙ্গনা লেখেন, “কেউ এ সব নিয়ে কথা বলছে না, কারণ ওরা কৃষক নয় জঙ্গি। যারা দেশ ভাগ করতে চাইছে। যাতে টুকরো টুকরো হয়ে যাওয়া আমাদের দেশের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারে চিন এবং সেখানে চিনা উপনিবেশ তৈরি হতে পারে। যেমন আমেরিকায় হয়েছে।” ভারতবাসী আমেরিকানদের মতো বোকা নয় বলেও জানিয়েছেন তিনি।