নিজস্ব সংবাদদাতা- আগামী বিধানসভা নির্বাচনেএকজোট হয়ে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস। তাদের এই জোট দেখা যাচ্ছে বিধানসভার ভিতরেও। রাজ্যের আসন্ন বিধানসভা অধিবেশনের বাজেট বক্তৃতা পর্ব একযোগে বয়কট করার কথা ঘোষণা করে দিল বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের আব্দুল মান্নান এবং বামফ্রন্টের পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী। তারা একযোগে সাংবাদিক সম্মেলন করে বাজেট বক্তৃতা বয়কটের বিষয়টি পরিষ্কার করে দেন।
আব্দুল মান্নানের অভিযোগ চিরাচরিত পরিষদীয় রীতি ভঙ্গ করে রাজ্যপালের বক্তৃতা ছাড়াই বাজেট অধিবেশন শুরু করতে চলেছে রাজ্য সরকার। তিনি বলেন, “এই নিয়ে সরকারকে অনেকবার প্রশ্ন করেছি, কোনো সদুত্তর দেওয়া হয়নি। ওরা ১৯৬৩ সালের উদাহরণ তুলে ধরছে। সেই সময় ভারত-চীন যুদ্ধ হচ্ছিল বলে সংসদের অধিবেশন শুরুর আগে রাষ্ট্রপতি বক্তৃতা দিতে পারেননি। কিন্তু এখনতো সেইরকম কোনো ব্যাপার নেই। তাহলে কী কারনে রাজ্যপালের বক্তৃতা বাদ দেওয়া হল?”
বাম পরিষদীয় দলনেতা তথা সিপিআই(এম)-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, “রাজ্যপালের বক্তৃতা তাছাড়া অধিবেশন শুরু করা মানে গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে এখনও পর্যন্ত টানা একটি অধিবেশন চলছে। গত দশ বছরে এই সরকার বিরোধীদের একটিও কথা শোনেনি। এমনকি বাজেট পেশ করবে হবে তা নিয়ে আমরা বিরোধীরা কিছুই জানিনা। ৫ ফেব্রুয়ারি বাজেট পেশ হবে বিকেল ৪ টের সময়, তার আগে দুপুর ২ টো নাগাদ বিজনেস অ্যাডভাইজারি কমিটির বৈঠক ডেকে বাজেট নিয়ে আমাদের জানানো হবে।”
সুজন চক্রবর্তী এবং আব্দুল মান্নানের বক্তব্য থেকে পরিষ্কার রাজ্য সরকার সংসদীয় নীতি সঠিকভাবে মেনে চলছে না বলেই তারা বাজেট বক্তৃতা বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
রাজ্যের রাজনৈতিক মহলের মতে তৃণমূল বিরোধী পরিসর পুরোপুরি যাতে বিজেপি দখল করে নিতে না পারে, বিধানসভা ভোটের আগে সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে উঠে পড়ে লেগেছে বাম-কংগ্রেস জোট। সেই জন্যেই পরিষদীয় রীতি লঙ্ঘন করার অভিযোগে বাজেট বক্তৃতা বয়কট করার মধ্য দিয়ে তারা রাজ্যবাসীর কাছে নির্দিষ্ট বার্তা পাঠানোর চেষ্টা করল।