নিজস্ব সংবাদদাতা- উত্তর ভারতের সংস্কৃতিকে মনে করিয়ে দিয়ে রাজ্যে পরপর দু’দিন দুটি রাজনৈতিক দলের মিছিলে গুলি মারো স্লোগান উঠল। হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত চন্দননগরে শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপির রোড শো ছিল। সেই রোড শোতেই বিজেপি সমর্থকদের একাংশ ‘দেশ কো গদ্দারো কো, গোলি মারো সালে কো’ স্লোগান তোলে।
বিকেলের দিকে আয়োজিত এই রোড শোতে শুভেন্দুর পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং এবং রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত। বেশ ভালই ভিড় হয়েছিল এই রোড শোয়। কিন্তু গুলি মারো শ্লোগানের পর রোড শো-টিকে ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
গতকাল টালিগঞ্জে তৃণমূলের শান্তি মিছিলে একই রকমভাবে গুলি মারো স্লোগান ওঠে। সেখানে বলা হয়েছিল ‘বঙ্গাল কো গদ্দারো কো, গোলি মারো’। ওই স্লোগানকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের সমালোচনায় মুখর হয়ে ওঠে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য দাবি করেন তৃণমূল তার সংস্কৃতি অনুযায়ী আচরণ করেছে, এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, “বিজেপি এবং তৃণমূল দুটি মুদ্রার এপিঠ আর ওপিঠ। তাদের মিছিলে এরকম স্লোগান ওঠায় আমি অন্তত অবাক হচ্ছি না।”
আজ বিজেপির চন্দননগরের রোড শোয় গুলি মারো স্লোগান ওঠার পর যথেষ্ট ব্যাকফুটে চলে গিয়েছে বিজেপি। এমনিতেই বিজেপির নেতৃত্তের বিরুদ্ধে এই নিয়ে আগে থেকেই অনেক অভিযোগ আছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর এর আগে সভা মঞ্চ থেকে ‘গোলি মারো’ স্লোগান দিয়েছিলেন। দিল্লী বিধানসভা নির্বাচনের সময় এ ঘটনা ঘটায় নির্বাচন কমিশন তাকে তিন দিনের জন্য প্রচার করা থেকে সাসপেন্ড করে।
বিজেপির আজকের মিছিলে গুলি মারো স্লোগান নিয়ে সরব হয়ে উঠেছে বিরোধীরা। তৃণমূলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ বলেন, “আমাদের মিছিলে গতকাল যে গুলি মারো স্লোগান উঠেছিল তা আমরা সমর্থন করিনি। দলের পক্ষ থেকে এই ধরনের স্লোগানের বিরোধিতা করা হয়েছে। কিন্তু বিজেপির মিছিলে স্লোগান উঠলেও ওরা তার বিরোধিতা করেনি। এটাই স্বাভাবিক। বিজেপির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ নতুন নয়, বারবার ওদের মিছিলে এইরকম স্লোগান ওঠে। ওদের দলটার এটাই মনোভাব।”