রেলকে সাধারণ নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষের একমাত্র যাতায়াত (transport) মাধ্যম বললে খুব একটা ভুল হবেনা। একজন দিন আনা দিন খাওয়া মানুষের কাছে যাতায়াতে ব্যয় করার জন্যে খুবই স্বল্প অর্থ বরাদ্দ থাকে, যেটা একমাত্র রেল মাধ্যমেই বজায় রাখা সম্ভব হয়। লকডাউনে তো ট্রেন চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়, এমন একটা পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ অন্যান্য খাত থেকে টাকা কমিয়ে যাতায়াতের জন্য ব্যয় করতে বাধ্য হয়। কিন্তু এভাবে আর কতদিন? অর্ধেক অফিস বন্ধের পথে, ঠিকঠাক তাদের কর্মীদের বেতন দিতে পারছেনা, ছোটখাটো ব্যাপারে অনেক টা টাকা মাইনে থেকে কমিয়ে নেওয়ার চক্রান্ত করছে সারাদিন আর তাতে কোম্পানির মালিককেও সম্পূর্ণ দোষারোপ করার উপায় নেই। তার পকেটেও পর্যাপ্ত অর্থ পৌঁছচ্ছেনা। কিন্তু স্বল্প বেতনের বিনিময়ে যারা কাজ করে তাদের সেই বেতনে যদি টান পরে, সেই বা কিভাবে জীবনযাপন করবে? কিভাবে তারা একটু বিলাসিতা করে কর্মক্ষেত্রে উপস্থিত হবে?
দ্বিতীয় ক্ষেত্রে যদি আমরা একটু ঠিক করে মনে করি, ট্রেনে আমরা বিভিন্ন প্রকারের হকার দের দেখতাম, যারা অনেকরকম সামগ্রী নিয়ে ট্রেনে উপস্থিত হতো। করোনা পরিস্থিতিতে একেই সাধারণ মানুষ আর বিলাসিতা করছেনা, তার ওপর যদি রেল বন্ধই হয়ে যায়, তাদের কি হবে?
Transportation বন্ধ হওয়ার চিত্র
এই সাধারণ জিনিসগুলো কেউ ভেবেই দেখেননা। লোকাল ট্রেন চালুর দাবিতে বৃহস্পতিবার সকালে সোনারপুরে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটেছে। এদিকে, বাংলায় ১ জুলাই পর্যন্ত বিধিনিষেধ জারি রয়েছে। রেল কর্তৃপক্ষও আবেদন জানিয়েছেন ইতিমধ্যে, তবে ১ জুলাইয়ের পর কি লোকাল ট্রেন শুরু হবে বাংলায়? এ নিয়ে সংশয় রয়েছে। বরং মুখ্যমন্ত্রীর কথাবার্তায় সেরকম কোনো ইঙ্গিতই পরিলক্ষিত হয়নি।