নিজস্ব সংবাদদাতা: সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখ রাখলে প্রায়শই এমন কিছু খবর আমরা দেখতে পাই, যা আমাদের রীতিমত অবাক করে দেয়। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন খবরে আমরা সমৃদ্ধ হই। তেমনই একটি খবরে অবাক হয়েছে গোটা দেশ।
সবথেকে কনিষ্ঠ ব্যক্তি হিসেবে অনেকেই অনেক রকম কৃতিত্ব অর্জন করে। কেউ বিজ্ঞানী হিসাবে সফলতা লাভ করে, কেউ আবার খেলজগতে কৃতিত্ব লাভ করে। সাফল্য পেতে গেলে যে বয়সে বড় হতে হয়, তার কোনো মানে নেই। যোগ্যতা থাকলে যে কম বয়সেই সাফল্য পাওয়া যায়, নিজের দুর্দান্ত কাজের মধ্যে দিয়ে তা ফের একবার প্রমান হল। আর এর পুরোধা মধ্যপ্রদেশের তনিষ্কা।
ইন্দোরের এই কন্যা মাত্র ১৩ বছর বয়সে বি.এ.-তে এডমিশন নেওয়া ছাত্রীতে পরিণত হয়েছে। তনিষ্কা নামের এই কিশোরী ১১ বছর বয়সে মাধ্যমিক পাস করেছে। ১২ বছর বয়সে ১২ শ্রেণী পাস করে এশিয়া বুক অফ এওয়ার্ড এর সম্মান নিজের নামে করে নিয়েছে।
প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখা উচিত, তনিষ্কা তার মা অনুভার সাথে থাকে। তাঁর বাবা কিছু দিন আগে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। উচ্চমাধ্যমিক পাস করে বি.এ. এর সাইকোলজি বিভাগে তনিষ্কা ভর্তি হয়েছেন। উপাচার্য ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অনুমতির দ্বারা তাঁর ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।
তবে শুধুই কম বয়সে কলেজে ভর্তি হওয়া নয়, চোখে কাপড় বেঁধে লেখার দক্ষতেও বেশ তৎপর তনিষ্কা। তনিষ্কা বলেছেন, ওঁর বাবার স্বপ্ন ছিল যে তার মেয়ে কিছু করে দেখাক। ১১ বছর বয়সে বিশেষ অনুমতি নিয়ে মালওয়া কন্যা বিদ্যালয় থেকে প্রাইভেট ফর্ম পূরণ করে তনিষ্কা দশম শ্রেণীতে ফাস্ট ক্লাস পেয়ে পাস করে। এরপর দ্বাদশ শ্রেণীতেও তনিষ্কা প্রাইভেট ফর্ম পূরণ করে ফাস্ট ক্লাস পেয়ে পাশ করে। তাঁর এই সাফল্যে গর্বিত গোটা এলাকা।
সম্প্রতি তনিষ্কা বলেছেন যে, সে তাঁর বাবার স্বপ্ন পূরণ করার জন্য লাগাতার কাজ করছে। তবে সে বিএ এলএলবি করতে চেয়েছিল কিন্তু সে অনুমতি পায়নি। তাই বিএ-তে এডমিশন নিয়েছে।