পাকিস্তানে রাজনৈতিক অস্থিরতার পরিবেশ এখন চরমে। একদিকে জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টে শুনানি চলছে, অন্যদিকে ইমরান খান তার সমর্থকদের নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান মঙ্গলবার তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের একটি অনুষ্ঠানে ভাষণ দেওয়ার সময় কর্মীদের নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেছিলেন। তিনি বলেন, আমাদের সবাইকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে হবে এবং পুরনো ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।
ইমরান খান বলেন, ‘তোমাদের সবাইকে এখনই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে হবে। আগামী তিন মাসের মধ্যে পাকিস্তানে নির্বাচন হবে এবং এবার আমরা খুব যত্ন সহকারে আমাদের আদর্শের মানুষকে টিকিট দেব। ইতিহাসে আমরা ভুল করেছি এবং তার জন্য আমাদেরকে কঠিন শাস্তি ভোগ করতে হয়েছে। এখন আমরা আমাদের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে প্রথম যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি তা হলো খুব ভেবেচিন্তে টিকিট দিতে হবে। আমাদের সঙ্গে যারা দাঁড়িয়েছেন, তাদের সব বিধায়ক ও সাংসদকে আমরা টিকিট দেব। এই মানুষগুলো কঠিন সময়ে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। ইমরান খান বলেন, এবার সিরিয়াস লোক এবং যারা দলের জন্য হাল ছেড়ে দেবেন তাদের টিকিট দেব। ইমরান বলেন, যারা শুধু নিজেদের কথা ভাবেন তাদের আমরা টিকিট দেব না।
ক্ষমতাচ্যুত ইমরান খান বলেছেন, আগামী নির্বাচনে যারা বিদেশি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছে তাদের শিক্ষা দিতে হবে। এদিকে মঙ্গলবারও সুপ্রিম কোর্টে জাতীয় সংসদ ভেঙে দেওয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা আবেদনের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্তকে অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়ে আদালত বলেছেন, সংসদের নিয়ম সংবিধানের ঊর্ধ্বে হতে পারে না। পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি উমর আতা বন্দিলাল বলেছেন, জাতীয় পরিষদের নিয়মের চেয়ে সংবিধানের আদেশ বেশি গুরুত্বপূর্ণ।