নিজস্ব সংবাদদাতা: দ্বিতীয় দফার ভোটে এক বিজেপি নেতার বাড়িতে ইভিএম লুকিয়ে রাখার খবর প্রকাশ্যে এসেছিল। যা নিয়ে সেইদিন তোলপাড় হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। আর এবার তৃতীয় দফায় ঠিক তার উল্টো ঘটনা ঘটল। হাওড়ার উলুবেড়িয়া উত্তর বিধানসভায় তৃণমূল নেতার বাড়ি থেকে মিলল ইভিএম ও ভিভিপ্যাট। ভোটের সরঞ্জাম পৌঁছে দেওয়ার এই অভিযোগ উঠেছে সেক্টর অফিসারের বিরুদ্ধে।
সূত্রের খবর, রাতে একটি মারুতি ভ্যানে করে চারটে ইভিএম মেশিন নিয়ে এক তৃণমূল নেতার বাড়িতে ঢোকে সেক্টর অফিসার। গভীর রাতে এলাকায় গাড়ি ঢুকতেই পাড়ার লোকজনের সন্দেহ হয়। তাঁরা গাড়িটাকে ঘিরে ফেলে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, ওই মেশিনে ছাপ্পা মেরে রাখা হচ্ছিল। সকাল হলে বুথে মেশিন খারাপ হয়েছে বলে ওই মেশিন ঢুকিয়ে দেবে। যেই ঘটনায় গোটা এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে।
খবর জানাজানি হতেই, তৃণমূল নেতার বাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ শুরু করেন গ্রামবাসীরা। ঘটনাস্থলে যায় কেন্দ্রীয় বাহিনী ও পুলিশ। উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে। চাপে পড়ে শেষে ভুল স্বীকার করেন অভিযুক্ত সেক্টর অফিসার। উলুবেড়িয়া উত্তরের বিজেপি প্রার্থী চিরন বেরার দাবি, গতকাল মাঝরাতে গাঁতাইত পাড়ায় স্থানীয় তৃণমূল নেতা গৌতম ঘোষের বাড়িতে ইভিএম ও ভিভিপ্যাটের সেট পৌঁছে দেন সেক্টর অফিসার। খবর জানাজানি হতেই রাত থেকেই তৃণমূল নেতার বাড়ি ঘিরে রাখেন গ্রামবাসীরা। ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর বিক্ষোভের মুখে পড়েন উলুবেড়িয়া ২ নম্বর ব্লকের বিডিও।
বিজেপির অভিযোগ, এই এলাকার তূনমুল কর্মী গৌতম ঘোষের বাড়িতে সেক্টর অফিসার তপন সরকার দুটি গাড়ি নিয়ে রাত ১টা নাগাদ আসেন। তাঁর সঙ্গে গাড়িতে মোট আটটি ইভিএম এবং ভিভিপ্যাট মেশিন ছিল। এলাকার লোকজন তা দেখতে পয়ে সমস্ত বিজেপি কর্মীদের খরব দেয়। এরপরই তাঁরা সকলে গৌতম ঘোষের বাড়ি ঘেরাও করে এবং তাঁর সঙ্গে সেক্টর অফিসারকেও ধরে ফেলে। পরে রাজাপুর থানার পুলিশ এলে, পুলিশকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখায় তাঁরা।