ইতিহাসের অজানা জাহাজডুবি ; জাহাজের মধ্যে দিয়ে সমুদ্রের বুকে ভেসে চলা কর না পছন্দ। কিন্তু যখন এই জাহাজ ই কাল হয়ে ওঠে তখন কি আর কিছু হাতে থাকে। যুগের পর যুগ ধরে যেমন মানুষ সমুদ্রের উপর আধিপত্য বসিয়ে তার উপর রাজত্ব করে চলেছে। সেরমই এমন ও কিছু কিছু ঘটনা আছে যেখানে সমুদ্র মাথা চাড়া দিয়ে উঠে তার জবাব জানিয়েছে।
ইতিহাস খতিয়ে দেখলে এরম বহু সংখ্যক ঘটনার কথা জানা যায় যেখানে চোখের সামনে বড়ো বড় জাহাজ সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ এ কাগজের নৌকার মতন তলিয়ে গেছে। যা চক্ষ্যু লব্ধি করতে সৌভাগ্য বা দুর্ভাগ্যের প্রয়োজন। আজ এমন ই কিছু বিখ্যাত জাহাজডুবির গল্পঃ নিয়ে আপনাদের কাছে হাজির হলাম।
কুবলে খান এর বহর :
ঐতিহাসিক জাহাজডুবির আলোচনায় কুবলে খান এর জাহাজডুবির ঘটনায় উল্ল্যেখযোগ্য। ২০০১ সাল নাগাদ এই জাহাজের বেশ কিছু অবশেষ সন্ধান প্রাপ্ত হয় । কুবলে খান এর এই মঙ্গোলিয়ান জাহাজ ১২৭৪ ও ১২৮১ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ লাগাতার দুবার জাপান আক্রমণের উদ্যেশ্যে বের হয় ও মাঝসমুদ্রে তুমুল ঝড়ের সম্মুখীন হলে তার এই সেনা জাহাজ দুটি তলিয়ে যায় নিমেষে।
হাজার হাজার সৈনিক এই মঙ্গোলিয়ান যুদ্ধ জাহাজের সাথেই তলিয়ে যায় বলে জানা যায়। ২০১৫ সাল নাগাদ পৌরতত্ববিদ দের দ্বারা ক্যুশু আইল্যান্ড এ একটি মঙ্গোলিয়ান নৌকার অবশেষ পাওয়া যায় ও তা থেকে অনুমান স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
এম এস এস্তোনিয়া :
এস্তোনিয়ার জাহাজডুবির ঘটনা ইতিহাসের সবচেয়ে বড়ো ঘটনাগুলির মধ্যে অন্যতম। ক্রস ফেরি এম এস এস্তোনিয়া ১৯৯৪ সালে ডুবে যায়।অন্তত পক্ষে ৮০০ জন মানুষ এই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়ে ফেলেন যার অধিকাংশই আর কখনো পাওয়া যায়নি খুঁজে।
দুর্ঘটনার কারণ সম্বন্ধে বিশেষ কোনো তথ্য সামনে আসেনি , অনুমান করে বিজ্ঞানীরা নানা তত্ত্ব আমাদের সামনে রেখেছেন যেমন উন্মাদ আবহাওয়া গতিবিধি এই জাহাজ ডুবি কারণ নাকি অন্যকিছু। তবে এর আসল কারণ কি সে সম্বন্ধে এখনও কিছু জানা যায়নি।
এই ঘটনার পর মৃতদের পরিবার রা ভেঙে পড়েন এবং মৃতদেহ গুলিকে মাটিতে দফোন করবার জন্যে দাবি জানান কিন্তু কোনো উপায় না থাকায় অবশেষে মৃত দের শ্রদ্ধেয় জানাবার জন্যে উপকূলীয় অংশে অজস্র পাথর ফেলা হয়। ১৯৯৫ সালে সরকার নির্দেশে সেইখানে একটি স্মৃতি হিসাবে জল কবরস্থান তৈরি করা হয়েছে যা একটি ভ্রমণস্থান ও বটে।
স্পেনের আর্মাদা :
জাহাজডুবির আলোচনায় স্পেনের বিখ্যাত আর্মদা নৌবহর এর নাম না নিলে অসম্পূর্ণই থেকে যায়। স্পেনের এই বিখ্যাত নৌবহর অনেক গুলি জাহাজ নৌকার সমন্বয় এ তৈরি হয়েছিলো। ১৫৮৮ সাল নাগাদ এই নৌবহর ইংল্যান্ড কে পরাজিত করবার উদ্যেশ্যে রওনা দেয়। ও মাঝপথে প্রবল তুফানে এই নৌবহর এর বহু সংখ্যক জাহাজ স্কটল্যান্ড এর কাছে উত্তাল সমুদ্রে তলিয়ে যায়।
প্রায় ৫০০০ এর অধিক এই ঘটনায় প্রাণ হারান যাদের অধিকাংশই এই জাহাজের নাবিক ও সৈন্য ছিল বলে জানা যায়। ১৯৮৫ সালে স্থানীয় ডুবুরি রা এই ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কার করে যেখানে অনেক যুধাস্ত্র ভর্তি অবশেষ পাওয়া যায়। বহু সংখ্যক কামান ও বালির মধ্যে পাওয়া যায় কো – স্লিগো এর কাছে
এম ভি ডোনা পাস :
ফিলিপাইন এর ডোনা পাস একটি যাত্রীবাহী জাহাজ এর কাজ করতো একসময় যা পরবর্তী কালে ইতিহাসের মারাত্মক সমুদ্র ঘটনা গুলির মধ্যে নিজের নাম তালিকাভুক্ত করে। ১৯৮৭ সালে এই জাহাজ টির সাথে একটি অয়েল ট্যাংকার এর সাথে ধাক্কার ফলে এই জাহাজ টি কিছু সময়ের মধ্যেই সমুদ্রে তলিয়ে যায়।
আনুমানিক ৪৩৮৬ জনের প্রাণ এই ঘটনায় যায় বলে দাবি করা হয়। পরে জানা যায় জাহাজ টিতে কোনো রেডিও ছিল না এবং অনেক বেশি মাত্রায় লোক যাত্রা করবার জন্য রওনা হয় যাদের কাছে লাইফ জ্যাকেট এর পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় ঘটনাটি এরম মারাত্মক রূপ নেই যা ইতিহাসে চিরকাল লেখা থাকবে।
সুলতানা :
সুলতানা নামের জাহাজ পুরনো দিনের সময় আমেরিকান সিভিল ওয়ার এর পরে যুদ্ধ বন্দী দের ফেরত নিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যবহৃত হয়। ১৮৬৫ সালে ২৭ এপ্রিল এই জাহাজ টি একটি বড়সড় দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয় যখন জাহাজ টির একটি বয়লার একটি বিস্ফোরণ হোয়।নিমেষের মধ্যে দুর্ঘটনাটি মারাত্মক রূপ নেয় ।
প্রায় ১৮০০ সংখ্যক মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয়। আমেরিকার ইতিহাসে র মধ্যে এই ঘটনা সবচাইতে মর্মান্তিক ও দুখ্যজনক ঘটনাগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য। পরবর্তী কালে ১৯৮২ সালে একটি সোয়াবিন এর ক্ষেত এ জাহাজের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায় যা মিউজিয়াম এ সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে।
ভারতের আর্থিক ল্যান্ডস্কেপের বিস্তীর্ণ বিস্তৃতিতে, একটি নাম ব্যক্তি এবং ব্যবসার সাথে সমানভাবে অনুরণিত হয় যা মজবুত আর্থিক সমাধান খুঁজছে: ফেয়ার ফাইন্যান্স। এর প্রতিষ্ঠাতা দীনেশ...
আপনি কি আর্থিক ডোমেনে আছেন এবং এমন একটি অংশীদারিত্ব চাইছেন যা বৃদ্ধির জন্য প্রচুর সুবিধা এবং সম্ভাবনা সরবরাহ করে? ফেয়ার ফিনান্স আপনাকে সরাসরি বিক্রয়...