নিজস্ব সংবাদদাতা- সপ্তাহের প্রথম দিন সকালেই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড শহর কলকাতায়। নারকেলডাঙ্গা বস্তিতে আগুন লেগে কমপক্ষে ২০-২৫ টি ঝুপড়ি পুড়ে গিয়েছে। দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আগুন আয়ত্তে আনার চেষ্টা করছে, যদিও এখনও পর্যন্ত পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসেনি। দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে প্রয়োজনে আরও অতিরিক্ত দমকলের ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে আসতে পারে।
নারকেলডাঙ্গা থানার ঠিক উল্টো দিকে অবস্থিত এই বস্তিতে সকালে হঠাৎ আগুন লেগে যায়। দাহ্য পদার্থ দিয়ে বস্তির বাড়িগুলির একাংশ নির্মিত হওয়ায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ তৎক্ষণাৎ দমকলকে খবর দেওয়া হলেও তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে অনেকটাই দেরি করে, তার ফলেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে বেরিয়ে গিয়েছে। তবে হতাহতের খবর এখনও পর্যন্ত নেই।
স্থানীয় ওয়ার্ড কোঅর্ডিনেটর তথা কংগ্রেস নেতা প্রকাশ উপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে অভিযোগ করেন আগুন লাগার ঘটনা জানতে পেরে তিনি নিজের পরিচয় দিয়ে দমকলে ফোন করা সত্ত্বেও প্রায় এক ঘন্টা পর ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় অগ্নিনির্বাপক দফতরের কর্মীরা। তিনি আরও বলেন, “এই ঝুপড়িগুলিতে বেশ কিছু লোক অসামাজিক কাজকর্ম চালায় বলে স্থানীয় বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছে। এখানে মূলত, মদ গাঁজা সহ নেশা ভাঙের ঠেক গড়ে উঠেছিল। আমি অনেকদিন ধরেই কর্পোরেশনকে বলছি এই ঝুপরিগুলি সরিয়ে এখানকার মানুষ জনের জন্য স্থায়ী কাঠামো তৈরি করা হোক।”
স্থানীয় বাসিন্দারা দমকলের গাফিলতির জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করেন। অগ্নিকাণ্ড ভয়াবহ আকার ধারণ করার ফলে তাদের এই শীতের সময় খোলা আকাশের নিচে দিন কাটাতে হবে অভিযোগ করেন তারা। সেই সঙ্গে ওই এলাকায় অসামাজিক কাজ কর্মের দৌরাত্ম্য বৃদ্ধির কথাও জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত গত সপ্তাহেই বাগবাজারের হাজরা বস্তিতে আগুন লেগে সমস্ত এলাকা ভস্মীভূত হয়ে যায়। ওই ঘটনায় ‘মায়ের বাড়ি’তে অবস্থিত ‘উদ্বোধন’ কার্যালয়টি আগুনে পুড়ে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী ঘটনাস্থলে পরের দিন উপস্থিত হয় জানান রাজ্য সরকার ক্ষতিগ্রস্থ প্রতিটি মানুষের জন্য একই জায়গায় পাকা বাড়ি তৈরি করে দেবে। ইতিমধ্যেই সেই কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।