দুঃস্বপ্ন দেখা থেকে মুক্তি পাওয়ার কিছু নিয়ম
আমরা অনেকেই মাঝেসাঝেই দুঃস্বপ্ন দেখি যা খানিকটা এমন হয়- কখনো সমুদ্র তলে তলিয়ে যাচ্ছি বা কখনা উচুঁ পাহাড় থেকে পড়ে যাচ্ছি। এমন স্বপ্ন দেখার কারণ কি আপনি জানেন? স্বপ্ন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অবচেতন মনে বাস্তবের প্রতিফলন পড়ে স্বপ্নেরা জাল বোনে। সারা দিন সমস্ত কাজের পর বিছানায় শান্তিপূর্ণ একটু ঘুম সকলের একান্ত কাম্য। কিন্তু যদি কোন কারণে সেই ঘুমে ব্যাঘাত ঘটে, তা হলে তা অত্যন্ত বিরক্তি আনে। বিভিন্ন কারণে রাতে ঘুম না হতে পারে। তাঁর মধ্যে অন্যতম হল ঘুমের মধ্যে দুঃস্বপ্ন দেখা।
ঘুমের মধ্যেও জেগে থাকে বাস্তবের ধারাবাহিকতা। আবেগ, তথ্য, তত্ত্বের প্রকাশ ঘটে আর তাতেই রিঅ্যাক্ট করে আমাদের শরীর। যার ফলে আমরা কখনও ঘুমের মধ্যেই তলিয়ে যেতে থাকি গভীর সমুদ্রে, কখনও বা পাহাড় থেকে আছড়ে পড়ি মাটিতে। ঠিক তখনই ভেঙে যায় ঘুম। ভোরের স্বপ্ন সত্যি হবে এই ভেবে মনের মধ্যে তোলপাড় হতে থাকে। বাস্তুবিদদের মতে বাস্তুর কোনও দোষের কারনেই এমনটা ঘটে। তবে কিছু বাস্তু টিপস মেনে চললে সহজেই মুক্তি পাওয়া যেতে পারে এই সমস্যা থেকে।চলুন জেনে নি সেগুলি কি কি-
১) ঘরে গাছ লাগান-
বাস্তু শাস্ত্র মতে ঘরে যত বেশি সম্ভব গাছ রাখতে হবে। ঘরে গাছ রাখলে ঘরের পরিবেশ যেমন খুব সুন্দর ও শান্তিময় থাকবে তেমন রাতে দুঃস্বপ্ন আসাও বন্ধ হবে।
২) তামার পাত্রে আহার করুন
বাস্তুবিদরা নিয়মিত তামার বাসনে খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। এতে জীবনে শান্তি বজায় থাকে।
৩) তামার গ্লাসে জলপান করুন
রাতে ঘুমের সময় মাথার কাছে তামার পাত্রে জল রেখে তা সকালে পান করুন। এর ফলে রাতে দুঃস্বপ্নের প্রভাব অনেকটা কমবে।
৫) বালিশের নীচে লোহা রাখুন
বাস্তু শাস্ত্রে উল্ল্যেখ আছে রাতে বিছানার নীচে লোহা রেখে ঘুমোলে দুঃস্বপ্ন দেখা বন্ধ হয়ে যায়।
৬) সর্বদা বিছানা পরিষ্কার রাখুন
যতটা সম্ভব খাটের তলা পরিষ্কার পরিছন্ন রাখুন। খাটের নীচে জুতো বা ঝাঁটা রাখবেন না।
৭) শুদ্ধ বস্ত্র পরে ঘুমান
রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে শুদ্ধ বস্ত্র পরে ঘুমানো অভ্যেস করুন।
এই নিয়মগুলি পালন করলে দুঃস্বপ্ন থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।