নিজস্ব সংবাদদাতা- অবশেষে দ্রৌপদীর মানভঞ্জন হল। অন্তত এমনটাই মনে করছেন রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। রাজ্যসভায় বিজেপির মনোনীত সংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের কথা বলা হচ্ছে। পুরানো মহাভারত সিরিয়ালে তিনি দ্রৌপদীর ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। সেই থেকেই সারাদেশে দ্রৌপদী নামে পরিচিত রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। যদিও কেবলমাত্র দ্রৌপদীর ভূমিকাতে তার অভিনয় জীবন থেমে যায়নি। জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী বাংলা ছাড়াও হিন্দি, তামিল, তেলেগু, ওড়িয়া চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তার অভিনয় দক্ষতার প্রশংসা করেন সমালোচক মহল।
রূপা গঙ্গোপাধ্যায় ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগেই বিজেপিতে যোগদেন। সেবার তিনি বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও শেষ পর্যন্ত হেরে যান। যদিও গেরুয়া শিবিরের কাছে তার গুরুত্ব এতটুকু কমেনি। কয়েকদিন পরেই তাকে রাজ্যসভার মনোনীত সংসদ করে কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব। পাশাপাশি রাজ্য বিজেপির মহিলা মোর্চার দায়িত্ব রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের কাঁধে তুলে দেওয়া হয়। নতুন দায়িত্ব পেয়ে তিনি ময়দানে তেড়ে-ফুঁড়ে নেমে পড়েছিলেন। সেই সময়ে বিভিন্ন আন্দোলন কর্মসূচির কারণে প্রায় প্রতিদিনই সংবাদ শিরোনামে থাকতো বিজেপির মহিলা মোর্চা।
পরবর্তীকালে মহিলা মোর্চার দায়িত্ব লকেট চট্টোপাধ্যায়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তারপরও যথেষ্ট সক্রিয় ছিলেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু গত পাঁচ-ছয় মাস ধরে তাকে রাজনৈতিক ময়দানে সেভাবে দেখা যাচ্ছে না। এমনকি জেপি নাড্ডা ও অমিত শাহের মত বিজেপির শীর্ষ স্তরের নেতারা রাজ্য সফরে আসলেও উপস্থিত থাকেননি রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। এরপরই সম্ভবত বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফ থেকে তাঁকে নির্দেশ পাঠানো হয় যাতে ময়দানে নামেন।
দিল্লির নির্দেশমতো ময়দানে নেমে বিজেপির রাঢ়বঙ্গ জোনের পরিবর্তন যাত্রা রথে সওয়ার হয়েছেন রূপা। তিনি বীরভূমের নানান জায়গায় জনসভা করছেন, এমনকি রথ যেখানে থাকছে সেখানকার হোটেলেই রাত্রিবেলায় থেকে আবার পরের দিন সকালে রথের ওপর চড়ে বসছেন। বিজেপির অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা গিয়েছে এই অভিনেত্রী রাজনীতিবিদের জনসভাগুলিতে বেশ ভালোই ভিড় হচ্ছে। মানুষ তার কথা মন দিয়ে শুনছে। এখন দেখার তার এই সক্রিয় হওয়াটা কত দিন বজায় থাকে। দিলীপ ঘোষেরা কিন্তু চাইছেন তিনি আগের মতোই আবার ময়দানে নেমে পড়ুন।