কলকাতায় বাংলা নাটকের মঞ্চ বা প্রেক্ষাগৃহ প্রথম প্রতিষ্ঠা করেছিলেন একজন রাশিয়ান, গেরসিম লেবেদেফ। সেটা অষ্টাদশ শতকের শেষ দিকের ঘটনা, ১৭৯৫ সালে বর্তমান কলকাতার এজরা স্ট্রিটের কাছে বেঙ্গলি থিয়েটার নামক প্রথম বাংলা নাটকের জন্য প্রেক্ষাগৃহ নির্মিত হয়। কলকাতায় অবশ্য তারা আগে থেকেই নাটকের প্রেক্ষাগৃহ ছিল, তবে সেগুলি সবই ছিল ইংরেজি নাটকের জন্য এবং সেগুলিতে প্রধানত ইউরোপীয়রা ইংরেজি ভাষার নাটক মঞ্চস্থ করতেন।
লেবেদেফ প্রতিষ্ঠ বেঙ্গলি থিয়েটারের উদাহরণ দেখে উনবিংশ শতকের প্রথমার্ধ থেকেই একে একে আরো অনেক বাংলা নাটকের প্রেক্ষাগৃহ প্রতিষ্ঠিত হতে থাকে। যেমন হিন্দু থিয়েটার, ওরিয়েন্টাল থিয়েটার, জোড়াসাঁকো নাট্যশালা ইত্যাদি ইত্যাদি। পরবর্তীকালে ন্যাশনাল থিয়েটার, বেঙ্গল থিয়েটার, মিনার্ভা থিয়েটার রংমহল থিয়েটার, স্টার থিয়েটার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এর আরও পরে কাশী বিশ্বনাথ মঞ্চ, বিজন থিয়েটারের মতো আরো বেশ কিছু নাট্যমঞ্চ কলকাতার বুকে গড়ে ওঠে।
দুঃখের কথা হলো এই যতগুলি নাট্যমঞ্চের কথা এখানে উল্লেখ করা হল এবং এর বাইরে যেগুলো উল্লেখ করা হলো না তার সবকটিই প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে। শুধু বন্ধ হয়ে যায়নি, বেশিরভাগ জায়গাতেই ওই প্রেক্ষাগৃহ ভেঙে অন্য কোনো কাঠামো গড়ে উঠেছে। পুরানো আমলের নাট্যমঞ্চগুলোর মধ্যে থেকে মূলত স্টার থিয়েটার এবং মিনার্ভা থিয়েটার এখনো পর্যন্ত সক্রিয় আছে।
এই প্রতিবেদনে আমরা কলকাতার বর্তমান সক্রিয় নাট্যমঞ্চগুলির খোঁজ নেব, খুঁজে দেখব সংস্কৃতি নগরী বলে পরিচিত কলকাতায় নাটকের মতো শক্তিশালী সাংস্কৃতিক মাধ্যমের চর্চা করার উপযুক্ত সুযোগ বর্তমানে আদৌ কতটা আছে এবং যতটুকু সুযোগ আছে সেটাও যথেষ্ট কিনা।
এরকম এক অদ্ভুত অনুসন্ধানের মূল কারণ হলো সভ্যতা যত আধুনিক হচ্ছে ততো ডিজিটাল এবং ভার্চুয়াল দুনিয়ায় প্রবেশ করছে। সেখানে থিয়েটারের মতো এক জীবন্ত শিল্পমাধ্যমের বেঁচে থাকাটা খুবই জরুরী। পৃথিবীর নানা দেশে নানা সময়ে চেষ্টা হয়েছে সিনেমার মতো করে থিয়েটারকে রেকর্ড করে যদি মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়। এই চেষ্টা কলকাতাতেও হয়েছে। কিন্তু তার সবগুলোই ব্যর্থ হয়েছে। এই ব্যর্থতা বোধহয় খুব স্বাভাবিক ছিল। কারণ একটি নাট্য প্রযোজনা যখন মঞ্চে উপস্থাপিত হয় তখন অভিনেতাদের সঙ্গে সঙ্গে দর্শকরাও সেই প্রযোজনার গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হয়ে ওঠেন। এর মূল কারণ হলো নাটক বা থিয়েটার শিল্পটি দর্শকের সঙ্গে কমিউনিকেশনের ওপর নির্ভর করে গড়ে উঠেছে।
আপনি একজন দর্শক হিসাবে প্রেক্ষাগৃহে উপস্থিত হয়ে জীবন্ত নাটকটি দেখতে দেখতে যে অনুভব এবং উপলব্ধি অর্জন করতে পারবেন তা বাড়িতে বসে রেকর্ড চালিয়ে বা অন্য কোনোভাবে নাটকের ভিডিও দেখে অর্জন করা সম্ভব নয় কোনোমতেই। তাহলে বোঝাই যাচ্ছে থিয়েটার নিয়মিত মঞ্চস্থ হতে গেলে এবং তার চর্চা ধারাবাহিকভাবে বজায় থাকতে গেলে নাট্যমঞ্চ বা নাট্য প্রেক্ষাগৃহের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। অথচ দুঃখের কথা হলেও এটাই সত্যি কলকাতায় বর্তমানে টিকে থাকা একটিও নাট্যমঞ্চ পুরোপুরি বিজ্ঞানসম্মত ভাবে গড়ে ওঠেনি। সেক্ষেত্রে কলকাতার নাট্য শিল্পীদের কৃতিত্ব স্বীকার করে নিতেই হবে, কারণ তারা এই চিরস্থায়ী প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও ধারাবাহিকভাবে অভিনয় করে চলেছেন।
উপযুক্ত এবং যথেষ্ট পরিমাণে নাট্য প্রেক্ষাগৃহের অভাবের ফলে কলকাতা বা কলকাতা কেন্দ্রিক নাট্যচর্চা ব্যাপক পরিমাণে ব্যাহত হচ্ছে। সেই সঙ্গে দর্শকরাও নাটক দেখা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। এই ঘটনা আখেরে নাটকের মতো একটি প্রত্যক্ষ সংযোগ সৃষ্টিকারী এবং কালেক্টিভ আর্ট ফর্মের টিকে থাকার ক্ষেত্রে বড় প্রশ্ন চিহ্ন ইতিমধ্যেই তৈরি করে দিয়েছে। অনেকেই বলবেন মঞ্চের বাইরে কি নাটক অভিনয় করা সম্ভব নয়? আলবাত সম্ভব। বাদল সরকার থার্ড ফর্মের নাটককে যথেষ্ট পরিমাণে জনপ্রিয় করে দিয়ে গিয়েছেন। বর্তমানে নাটকের ধরন এবং সংযোগ সৃষ্টির বিষয়টি ভাঙতে ভাঙতে অনেক রকম আকারে দাঁড়িয়েছে। বলা যেতে পারে অঙ্গন নাট্য এই মুহূর্তে মানুষকে অনেক বেশি করে ভাবায়।
কিন্তু অঙ্গন নাট্য আছে বলেই মঞ্চ নাটকের প্রয়োজনীয়তা এবং তাৎপর্য বিনষ্ট হয়ে যাবে বা ফুরিয়ে যাবে তা তো নয়। মঞ্চ নাটকের সুনির্দিষ্ট আবেদন এবং গুরুত্ব একইভাবে আছে। বরং মঞ্চ নাটকের সুযোগ যত সীমিত হয়ে পড়ছে ততোই কলকাতার নাট্যশিল্পী এবং তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মানুষজন যেন কেমন একটা অস্তিত্বহীনতায় ভুগতে শুরু করেছেন। অথচ এই বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনও খুব একটা ভাবনা চিন্তা করছে, ব্যাপারটা মোটেও তেমন নয়। এবার আমরা কলকাতার সক্রিয় নাট্যমঞ্চগুলির তালিকায় চোখ বুলিয়ে নিই-
এক্সাইড মোড়ের কাছে এবং সেন্ট পলস ক্যাথিড্রাল গির্জার ঠিক পাশেই এই নাট্য প্রেক্ষাগৃহটি অবস্থিত। বর্তমান কলকাতার নাট্যজগতের কাছে একাডেমির এই মঞ্চটির আলাদা কদর আছে। এখানে একবার অন্তত অভিনয় করার জন্য অনেক নাট্যশিল্পী অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেন। এই মঞ্চে অনুষ্ঠিত নাটকগুলি তুলনায় সবচেয়ে বেশি দর্শক আনুকূল্য পায়। যদিও এটি একটি বেসরকারি মঞ্চ, লেডি রানু মুখোপাধ্যায়ের গড়ে দেওয়া ট্রাস্ট এটির দেখভাল করে।
২) রবীন্দ্র সদন
দর্শক সংখ্যা এবং মঞ্চের আয়তনের নিরিখে এটি কলকাতার সর্ববৃহৎ প্রেক্ষাগৃহ। সরকার পরিচালিত এই প্রেক্ষাগৃহটিতে অবশ্য কেবলমাত্র নাট্য অভিনয় অনুষ্ঠিত হয় তা নয়, শিল্পকলার অন্যান্য দিকগুলির পাশাপাশি বিভিন্ন সরকারি আলোচনা সভাও এখানে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এই প্রেক্ষাগৃহটি তুলনায় অনেকটা বিজ্ঞানসম্মত ভাবে গড়ে উঠেছে, যদিও বেশ কিছু খামতি এখানেও আছে। এটি অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টসের ঠিক পাশেই অবস্থিত।
৩) শিশির মঞ্চ
রবীন্দ্রসদন চত্বরে অবস্থিত শিশির মঞ্চ অপর একটি সরকারি নাট্য প্রেক্ষাগৃহ। এটি পরিচালিত হয় পশ্চিমবঙ্গ তথ্য-সংস্কৃতি দপ্তরের অধীনস্থ রাজ্য নাট্য একাডেমী দ্বারা। এই মঞ্চ এবং প্রেক্ষাগৃহের সংস্কার সাধনের পর এটিই আগের তুলনায় অনেক বেশি উন্নত হয়েছে। এখানে নাট্য প্রযোজনার পাশাপাশি প্রতিবছর কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের বেশকিছু চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়। এটি নাট্যাচার্য শিশির কুমার ভাদুড়ির নামানুসারে নামাঙ্কিত।
এক্সাইড মোড় থেকে মিনিট সাত আটেকের হাঁটা পথ জ্ঞান মঞ্চ। এটি আসলে অভিনব ভারতী নামে একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের নিজস্ব প্রেক্ষাগৃহ। সময়ের ফেরে একটি স্কুলের ব্যক্তিগত প্রেক্ষাগৃহ বর্তমানে কলকাতার নাট্যজগতে অন্যতম প্রয়োজনীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রেক্ষাগৃহের মর্যাদা পেয়েছে।
সরকারি নাট্য হলগুলি পাওয়ার ক্ষেত্রে নিয়ম বিধির অনেক হ্যাপা আছে, অন্যদিকে বেসরকারি নাট্যমঞ্চের অভাব জ্ঞান মঞ্চকে অন্যতম নাট্য মঞ্চে পরিণত করেছে। অথচ এটি আলাদা করে নাট্যাভিনয়ের জন্যে বানানো হয়নি, বরং এখানে স্কুলের নিজস্ব অনুষ্ঠান ছাড়াও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংস্থার বার্ষিক অনুষ্ঠান হতো আগে। এখনোও সেসব হলেও মূলত নাট্যাভিনয় জন্যই এই মঞ্চটি জনসমক্ষে পরিচিতি লাভ করেছে।
ঠিক রাসবিহারীর মোড়ের কাছে অবস্থিত এই নাট্য মঞ্চটিতে অতীতে দিকপাল নাট্য অভিনেতারা অভিনয় করে গিয়েছেন। বর্তমান সময়েও বাংলা নাট্যজগতের প্রথম সারির অভিনেতারা এখানে অভিনয় করেছেন, আজও করে চলেছেন। নিভা আর্টস নামে একটি সাংস্কৃতিক সংস্থা এই নাট্য প্রেক্ষাগৃহটি পরিচালনা করে।
দক্ষিণ কলকাতার একদম প্রাণ কেন্দ্রে অবস্থিত হওয়ায় এই নাট্য প্রেক্ষাগৃহটির জনপ্রিয়তা যথেষ্ট বেশি। অসংখ্য নাট্য দল তাদের নাট্য উৎসব এই হলেই আয়োজিত করে। কিন্তু এই মঞ্চটির অবস্থা খুব একটা ভালো নয়, সেইসঙ্গে দর্শক আসন পুরানো আমলের হওয়ায় অনেকেই এখানে নাট্য প্রযোজনা দেখতে খুব একটা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না।
৬) মুক্তাঙ্গন
রাসবিহারী মোড়ে অবস্থিত আরেকটি নাট্য মঞ্চ হলো মুক্তাঙ্গন। তপন থিয়েটার থেকে এই মঞ্চটির দূরত্ব মাত্র দু’মিনিট। একসময় অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো বাংলা নাট্যজগতের দিকপাল অভিনেতা এখানে অভিনয় করে গেলেও বর্তমানে এই প্রেক্ষাগৃহটির স্বাস্থ্য বেহাল হয়ে পড়েছে!
শৌভনিক নামে একটি নাট্য সংস্থা মুক্তাঙ্গনের তত্ত্বাবধানে আছে। কিন্তু মালিকানা নিয়ে আদালতে মামলা চলায় আইনি জটিলতার কোপে পড়ে এই প্রেক্ষাগৃহটির উন্নতি সাধন করা সম্ভব হয়নি। এটি প্রায় ধ্বংস হয়ে গিয়েছে বলা চলে। এখানে না আছে উপযুক্ত সাউন্ড সিস্টেম, না আছে সঠিক আলোর ব্যবস্থা। এমনকি দর্শকাসনের মধ্যে মাত্র কুড়িটি বাদে বাকিগুলি বসার অযোগ্য। মঞ্চটিরও তথৈবচ অবস্থা। কিছু একক নাট্য প্রযোজনা ছাড়া এখানে বর্তমানে আর কোনো নাটক মঞ্চস্থ হয় না।
৭) মধুসূদন মঞ্চ
ঢাকুরিয়ায় অবস্থিত এই সরকারি প্রেক্ষাগৃহটি। এখানে নিয়মিত বিভিন্ন নাট্য প্রযোজনা মঞ্চস্থ হয়। এখানকার উন্নত মঞ্চ এবং দর্শক আসন অভিনেতা এবং দর্শক প্রত্যেককেই স্বস্তিতে রাখে। সংস্কার কাজ চলার জন্য মাঝে বেশ অনেকদিন এই প্রেক্ষাগৃহটি বন্ধ ছিল।
৮) মিনার্ভা থিয়েটার
রাজ্য তথ্য-সংস্কৃতি দপ্তরের অধীনে পরিচালিত হয় মিনার্ভা থিয়েটার। সবচেয়ে তাৎপর্যের হলো এই রাজ্যের একমাত্র নাট্য রেপার্টরী এখানেই অবস্থিত। রাজ্য সরকার এই রেপার্টরীর যাবতীয় দায়ভার বহন করে। এখানে মূলত রেপার্টরীর প্রযোজিত নাটকের শো হলেও, মাঝেমধ্যেই অন্যান্য দল অভিনয় মঞ্চস্থ করার সুযোগ পায়।
৯) গিরিশ মঞ্চ
উত্তর কলকাতার বাগবাজারে অবস্থিত এই সরকারি নাট্যমঞ্চের ঠিক পাশেই আছে রাজ্য যাত্রা একাডেমি পরিচালিত বিদ্যাবিনোদ যাত্রা মঞ্চ। এখানে মূলত শনি ও রবিবার করে আয়োজিত নাট্য প্রযোজনাগুলিতে বেশ ভালো পরিমান দর্শক সমাগম হয়।
কলকাতার একেবারে উত্তরতম প্রান্তে বেলগাছিয়ায় অবস্থিত এই নাট্যমঞ্চটি। এটি সংস্কার করে কয়েক বছর আগে নাট্যাভিনয়ের জন্য খুলে দেওয়া হয়। কলকাতার একদম উত্তরতম প্রান্তে অবস্থিত হওয়ায় বিশেষ উল্লেখযোগ্য প্রযোজনা ছাড়া এখানে দর্শক সমাগম তেমন একটা হয় না বললেই চলে।
কলকাতা বা তার আশেপাশে থাকা আরও দু-একটি মঞ্চের নাম সচেতনভাবেই এই তালিকার বাইরে রাখা হলো। কারণ সেগুলি নিয়মিত ভিত্তিতে নাট্য প্রযোজনার কাজে ব্যবহৃত হয় না। যেমন চেতলার অহীন্দ্র মঞ্চ বা দমদম নাগের বাজারের অজিতেশ মঞ্চ অথবা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেক্ষাগৃহ ড: ত্রিগুণা সেন অডিটোরিয়াম। এই তালিকায় স্টার থিয়েটারও আসবে, এই জায়গাগুলিতে এখন আর নিয়মিত ভিত্তিতে নাট্য প্রযোজনা হয় না। কখনো কখনো কোনো দল বা সংগঠন বিশেষ কোনো কারণে প্রযোজনা উপস্থাপিত করে থাকে।
এই তালিকায় আমরা দেখতে পেলাম প্রায় ১০ টির মতো নাট্য মঞ্চ বা পেক্ষাগৃহ কলকাতায় এখনো সক্রিয় ভাবে অবস্থান করছে। ঠিক। কিন্তু সপ্তাহান্তে অর্থাৎ শনি ও রবিবার অনেক বেশি দর্শক সমাগম হয় নাট্য প্রযোজনায়। তাই এই দুটি দিন নিজেদের প্রযোজনা মঞ্চস্থ করার জন্য নাট্যদলগুলি স্বভাবতই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে। অথচ সেই তুলনায় মঞ্চের সংখ্যা যেমন কম, তেমনি তা পাওয়ার জটিলতা ক্রমশ গলার ফাঁস হয়ে চেপে বসছে কলকাতার নাট্যজগতে!