প্রাচীনকালের কিছু অজানা ও ভয়ংকর শাস্তি দেওয়ার প্রথা
মানুষ আর অপরাধ এর সম্পর্ক যেন চিরকালীন।যেখানে মানুষ সেখানেই অপরাধ,শুনতে খারাপ লাগলেও বাস্তব টা খানিকটা এরকমটাই।আবার যেখানে অন্যায় রয়েছে সেখানে রয়েছে আইন বেবস্থা সেই অন্যায় কে যাতে ভবিষ্যতে বাড়তি সুযোগ না দেওয়া যায় সেই কারণে।
পৃথিবীর ২০০ র বেশি দেশের সমন্বয়ে তৈরি সব দেশে যে বিভিন্ন অপরাধের জন্য নির্ধারিত শাস্তি একি প্রকার হবে তাতে কোনো বাঁধাধরা নেই,কোনো দেশে কোনো অপরাধ এর সেটি নাও হতে পারে আবার কোনো দেশে ছোট কোনো জিনিস এও বড়সড় শাস্তির ভার নিতে হতে পারে।কিছুকিছু দেশে তো এই শাস্তির মান এতই উচু জে মানুষ অপরাধ করতে গেলে আগে ৭ বার ভেবে কাজ করে।
এরম ই কিছু ভয়ংকর অজানা সব শাস্তি নিয়ে আমাদের এই উপস্থাপনা যা আপনকার অবাক করে দিতে বাধ্য করবে এবং আপনি যেগুলো সোনার পর ভুল করেও সেগুলোকে করবার কথা ভাববেন না, যদিও এই শাস্তির গুলোর সবটাই প্রাচীন কালে প্রচলিত ছিল বর্তমান যুগে এগুলোর কোনোটিই এখন আর প্রচলিত নেই। বা থাকলেও প্রাচীন অধ্যুষিত এলকায় বিরাজমান।
ক্রুশবিদ্ধ করা:-
প্রাচীনকালে প্রচলিত ভয়নকর শাস্তি দেবার উদহারন এর এর মধ্যে ক্রুশবিদ্ধ করে মৃত্যুদণ্ড দেবার উধাহরন আমাদের কাছে নতুন নয়।উদহারন স্বরূপ ভগবান যীশু খ্রীষ্টের কথা আমরা সবাই জানি,যাকে এই শাস্তি দেওয়া হযেছিলো।এই শাস্তির ক্ষেত্রে অপরাধীকে শাস্তি দেবার জন্য প্রায় ২৫-৩৫ কেজি ওজনের একটা ক্রুশ এর সাথে হাত পায়ে পেরেক গেঁথে দেওয়া হতো ও তাকে ছেড়ে দেওয়া হতো, অবস্থায় আসামিকে ছেড়ে দেওয়ার ফলে তার ক্ষতস্থান দিয়ে অনবরত রক্ত ঝরতে থাকতো ও সে মারা যেত কখনো কখনো রক্ত ঝড়ার জন্য। নাহলেও ক্ষুধা ও তৃষ্ণায় আসামির মৃত্যু ঘটতো,লজ্জা দেবার জন্য আসামিকে যোগ্ন করে দেওয়া হতো ,কখনো কখনো হতে পায়ে মাথায় কাটার মুকুট বেরি পড়ানো হতো ও তাকে যেভাবে পারা হতো শারীরিক। অমানসিক ভাবে অত্যাচার করা হতো,প্রবল শিত বা উত্তাপ। এ আসামির অরম রক্তাত্ব ভাবে বেঁচে থাকা প্রায় অসম্ভব হয়ে ওঠে ও মৃত্যু অবধারিত।বিশ্বযুদ্ধর সময়ে ইউরোপের ব্যারাকের শত্রু সৈন্য দের এভাবে সেটি দেওয়া হাওয়ার প্রচলন ছিল।এছাড়াও তৎকালীন সময়ে ধর্মগুরুদের বিপক্ষে যাওয়ার পরিণতিতে উ এইধরনের দণ্ড দিতে পো প দের কোনো মায়া আসত না।
সিদ্ধ করা:-
নাম শুনেই স্পষ্ট হতে সন্দেহ থাকেনা এই ধরনের শাস্তি তে অপরাধী কে আগুনে পুড়িয়ে মারা হতো,তবে এইক্ষেত্রে সরাসরি আগুনে দিয়ে মেরে ফেলা হতনা বরং তাকে জলে দিয়ে সিদ্ধ করে আস্তে আস্তে তরপিয়ে মারা হতো।অপরাধীকে বড় কোনো পত্রের জলে হাত বেঁধে রেখে তাকে সেই পাত্রে জল ঢেলে সেই জল এ আগুনে র মাধ্যমে ফোটানো হতো ও ধীরে ধীরে তাকে ঝলসানো হতো ,এতে আসামির অসহ্য যন্ত্রণায় জে মৃত্যু ঘটত তা বলার অপেক্ষা থাকেনা,সাধারণত প্রাচীন চিনে যুক্ত রাজ্যে এই শাস্তি দেবার প্রচলন ছিল তবে পাশাপাশি আরো কিছু কিছু জায়গায় এই শাস্তি দেবার অভ্যাস ছিল বলে ইতিহাস ঘেঁটে জানা যায়।তীব্র উত্তাপে অপরাধী পালাবার চেষ্টা করলেও উচু ধার যুক্ত পাত্র গুলি খুব গরম হওয়ায় কিছু করবার উপায় থাকতো না।ও প্রাণ ছাড়তে হতো।
শরীরের চামড়া তুলে নেওয়া:-
প্রাচীনকালে ইরাকের ও মেক্সিকোর স্থানীয় রা বসবাস করতো তাদের মধ্যে এই ধরনের শাস্তি দেবার প্রথা বিরাজমান ছিল ।এই ধরনের শাস্তি দেওয়ার সময় আসামি কে প্রথমে ভালোভাবে শোয়ানো হতো এবং ভালোভাবে বেঁধে তার শরীর থেকে টছামরা কেটে তুলে নেওয়া হতো,স্বাভাবিক ভাবেই প্রবল ব্যাথার চোটে আসামী মারা যেত, ইতিহাসের সবচেয়ে নিষ্ঠুর শাস্তির মধ্যে এটি একটি যাতে বন্দী দের খুব কষ্ট দিয়ে মারা হতো,অনেক সময় ব্যাথার তীব্রতা বাড়াতে তাদের গায়ে লবণ ও মাখানো হতো বলে জানা যায়।মধ্যযুগে আনুমানিক ১৩০০-১৪০০শতকে এটি ছিল প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড দেবার সার্বজনীন পদ্ধতি।মধ্যযুগে ইংল্যান্ড এবং ফরাসী দের মধ্যেও এই শাস্তি দেওয়ার পদ্ধতির প্রচলন ছিল বলে জানা যায়।
অঙ্গ ছেদন:-
নাম শুনেই বোঝা যায় শরীর এর অঙ্গ ককেতে ফেলে সাতি দেওয়া এর মূল বৈশিষ্ট্য।তবে সাধারণ হাত পা কেটে শাস্তি দেওয়া হতো না।শরীরের বিশেষ বিশেষ অঙ্গ ,বিশেষত অধিক সংবেদনশীল অঙ্গ কেটে তীব্র যন্ত্রণার অনুভূতি অপরাধী কে দিয়ে তার প্রাণ নেওয়া হতো এই শাস্তির প্রক্রিয়ার।এই শাস্তির প্রক্রিয়ায় প্রথমে বন্দীকে সকলের সামনে নোগ্ন ভাবে বেঁধে রাখা হতো ও তারপর ধারালো বস্তু দিয়ে শরীরের বিভিন্ন সূক্ষ্ম এবং সংবেদনশীল অঙ্গ যেমন পেট, স্তন, যৌনাঙ্গ,হাত এবং আরও বিভিন্ন অঙ্গ।সরাসরি প্রাণ না নিয়ে বন্দীকে তরপিয়ে মৃত্যুদণ্ড দেবার মধ্যে ছিল এটি অন্যতম শাস্তি পদ্ধতির উদাহরণ।
জীবন্ত পুড়িয়ে দেওয়া:-
১৪ শতকে র সময় প্রধানত ফ্রান্স এ এই ধরনের শাস্তির প্রচলন ছিল,যেখানে অপরাধী ব্যতিকে নারীপুরুষ নির্বিশেষে ভালোভাবে বেঁধে তাদের গায়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হতো,এর ফলস্বরূপ উক্ত ব্যক্তিটি আগুনের শিখায় জ্বলতে থাকতো এবং জ্ঞান বজায় থাকার দরুন সব কষ্ট তাকে অনুভব করতে হতো এবং এভাবে কষ্ট পেতে পেতে একসময় ব্যক্তির মুখ সহ সমস্ত দেহ আগুনে পুরে ঝলসে মানুষটি প্রাণ ত্যাগ করতো,এই পদ্ধতির সূচনা হয়েছিল মূলত জোয়ান আর্ক কে পুড়িয়ে মেরে ফেলব পর থেকে,যদিও পরবর্তী কালে তার ব্যাপারে পুনঃতদন্তের ঘোষনা করা হয়যেখানে তদন্তে জওয়ানকে নির্দোষ সব্যোস্ত করা হয় ও অন্তিমে তাকে শহীদ এর মর্যাদা দেওয়া হয়।
করাতে কেটে মৃত্যুদণ্ড:-
এশিয়া সহ আরো ইউরোপের বেশ কিছু দেশে ছিল এই প্রথার রমরমা প্রচলন, এখানেও দোষী সাব্যস্ত ব্যাক্তি টিকে জনসমক্ষে নগ্ন করে দেওয়া হতো ও তার হাত পা বেঁধে দেওয়া হতো ,এর পর দুটি কাঠের খুঁটির সাথে তার ২টিবপা উল্টোভাবে বেঁধে তাকে ঝুলিয়ে দেওয়া হতো যেখানে ব্যক্তিটির পা উপরে ও মাথা নিচে ঝুলত, এই অবস্থায় তার যৌনাঙ্গ বরাবর ধারালো করাত দিয়ে কত শুরু করা হতো এবং পুরো শরীরের শেষ প্রান্ত অবধি করাত নামিয়ে উল্লিখিত ব্যক্তিকে ২টুকরো করে ফেলা হতো,অপরাধী ব্যাক্তি চরম কষ্ট ও মানসিক যন্ত্রণা সহ্য করতে করতে একসময় প্রাণত্যাগ করতে বাধ্য হতো,
বিদ্ধ করে মৃত্যু:-
অন্যান্য গুলোর মতই এখানেও উল্লিখিত ব্যাক্তি প্রথমে নগ্ন করে দেওয়া হতো ও তারপর শারীরিক অত্যাচার এর সাথে মানসিকভাবেও তার সন্মান কেরে নেওয়া হতো ও শেষ মেশ একটি বড়ো সূচালো অগ্রভাগ বিশিষ্ট দণ্ডের অগ্রভাগ তার পায়ুছিদ্র বরাবর প্রবেশ করিয়ে দেওয়া হতো।এরপর সেই মানুষ শুধু দণ্ড টিকে খাড়া ভাবে দার করিয়ে দেওয়া হতো,ভার স্বরূপ ব্যাক্তি টি আস্তে আস্তে নিচের দিকে গড়িয়ে আসতো এবং পায়ু ছিদ্র দিয়ে সরু ধারালো দণ্ড টি তার শরীরের ভিতরে নারি সহ অন্যান্য অঙ্গসমূহ ছিড়ে ভেদ করে মাথা দিয়ে বেরিয়ে আসতো। খুবই নৃশংস এই শাস্তি প্রথা শুনলেই গা শিহরিত হতে সময় লাগে না ।কখনো কখনো বা যাতে অপরাধী তাড়াতাড়ি না মরে তাই ধারলোর পরিবর্তে ভিতা মুখ বিশিষ্ট দণ্ড ও ঢোকানোর হতো যার দরুন ব্যাক্তি টি বেছে থাকে ও কষ্ট পায়।
ভারতের আর্থিক ল্যান্ডস্কেপের বিস্তীর্ণ বিস্তৃতিতে, একটি নাম ব্যক্তি এবং ব্যবসার সাথে সমানভাবে অনুরণিত হয় যা মজবুত আর্থিক সমাধান খুঁজছে: ফেয়ার ফাইন্যান্স। এর প্রতিষ্ঠাতা দীনেশ...
আপনি কি আর্থিক ডোমেনে আছেন এবং এমন একটি অংশীদারিত্ব চাইছেন যা বৃদ্ধির জন্য প্রচুর সুবিধা এবং সম্ভাবনা সরবরাহ করে? ফেয়ার ফিনান্স আপনাকে সরাসরি বিক্রয়...