গোটা একটা বছর করোনার জ্বালায় জেরবার ছিল গোটা দুনিয়া। এক এক জায়গায় এক একরকম স্ট্রেনের করোনা । ফলে, চিকিৎসক বা গবেষকদের পড়তে হচ্ছে নানান সমস্যাতে। তাই প্রত্যেকটি খুটি নাটি বিষয় তারা পরীক্ষা নিরীক্ষার মধ্যে আবদ্ধ রেখেছে । তবে নানান উপসর্গের মধ্যে অস্বাভাবিক হারে চুলপড়া ও নাকি করোনার উপসর্গ ! এমনটাই বলছে গবেষণা।
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গের উপরে এই ভাইরাস প্রভাব ফেলতে পারে। যেমন সাধারণত জ্বর, শুকনো কাশি, স্বাদ ও গন্ধ হারানো এবং শ্বাসকষ্টের মতো বিষয় কিন্তু করোনার উপসর্গ । এই ধরনের উপসর্গ গুলি কারো দেহে দেখা গেলেই তার করোনা হয়েছে এমনটা ধরে নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এগুলো ছাড়াও আরও কিছু বিরল উপসর্গও রয়েছে। এমনকি সম্পূর্ণ উপসর্গহীন করোনা রুগী ও আছে । অর্থাৎ অনেকের মধ্যে কোনও উপসর্গই দেখা থাকছে না। তাই এই ভাইরাসের উপস্থিতি শরীরে রয়েছে কি না তা বুঝতেও অনেকটা সময় লেগে যাচ্ছে। তবে এর মধ্যে স্বাদ ও গন্ধ চলে যাওয়াই সবচেয়ে প্রকট উপসর্গ বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এছাড়াও রয়েছে আরও কিছু উপসর্গ।তবে, সম্প্রতি হওয়া এক গবেষণার মাধ্যমে জানা যাচ্ছে হঠাৎ অতিরিক্ত চুল পড়ে যাওয়াও নাকি কোভিড ১৯ এর উপসর্গ।
অস্বাভাবিক ভাবে চুল পড়ে যাওয়া যদিও বহু মানুষের মধ্যেই দেখা যায় কিন্তু এর পিছনে বিভিন্ন কারণ রয়েছে। যেমন ধরুন, ভিটামিনের অভাবে অথবা খুশকি কিংবা অন্যান্য নানান কারণে কারুর চুল পড়তে পারে। কিন্তু করোনার কারণেও চুল উঠতে পারে বলে জানাচ্ছে নতুন গবেষণা। বিশেষত বহুদিন ধরে এই ভাইরাসে আক্রান্ত থাকলে চুল পড়ে যাওয়ার মতো উপসর্গ দেখা যায়। এর পরে ইন্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটি অফ মেডিসিন এর একটি সমীক্ষা থেকে দেখা গিয়েছে যে প্রথম ২৫টি উপসর্গের মধ্যে রয়েছে চুল পড়ে যাওয়া।
প্রসঙ্গত, করোনা বিভিন্ন মানুষের শরীরে বিভিন্ন ভাবে প্রভাব ফেলছে। কোভিড ১৯ এর সঙ্গে চুল পড়ার সরাসরি সম্পর্ক কী কতটা তা এখনও স্পষ্ট না হলেও, বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন কোভিডের ফলে স্ট্রেস বা অ্যাংজাইটি থেকে এই চুল পড়ে যাচ্ছে। শরীরে একসঙ্গে অনেকটা ধকল বা স্ট্রেস তৈরি হলে বা কোনও ট্রমা হলে এই ধরনের উপসর্গ দেখা যেতে পারে। গবেষণার মাধ্যমেই দেখা গিয়েছে, কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পরে অন্যান্য উপসর্গের সঙ্গেই চুল পড়ে যাওয়াও দেখা যাচ্ছে। তাই, যদি আপনি ও এই ধরনের উপসর্গ নিজের মধ্যে লক্ষ্য করে থাকেন তবে দেরি না করে একবার টেস্ট করিয়ে নিন।