নিজস্ব সংবাদদাতা: একদিকে বিজেপি যখন লাগাতার তৃণমূলের ‘ঘর ভাঙতে’ ব্যস্ত, যখন একে একে জোড়াফুল শিবিরের নেতা ঝাঁপ দিয়েছেন পদ্ম শিবিরে, ঠিক সেইসময়েই পাল্টা ধাক্কা দিল তৃণমূল। আজ তৃণমূলে যোগ দিলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের শ্যালক সৃজন রায়। এদিন তৃণমূল ভবনে তাঁর হাতে ঘাসফুল পতাকা তুলে দেন রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান জাতীয় মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন।

তৃণমূলে যোগ দিয়েই বিজেপির উদ্দেশ্যে তোপ দাগেন মুকুল রায়ের ঘনিষ্ঠ এই আত্মীয়। তিনি বলেন, “এটা একেবারেই পরিবারতন্ত্র নয়। মুকুল রায়ের আত্মীয় বলে আলাদা কিছু নয়। আমি দীর্ঘদিন ধরে বুথ স্তরে, ব্লক স্তরে কর্মীদের নিয়ে কাজ করেছি। এটা আমার চেনা মাঠ। সেই মাঠেই আবার নেমে পড়ব। কোনও অসুবিধা হবে না।” বিধানসভা ভোটের আগে মুকুল রায়ের শ্যালককে দলে টেনে তৃণমূল যে পাল্টা চাল দিল, তা বলাই বাহুল্য।

উল্লেখ্য, রেল বোর্ডে জায়গা করে দেওয়ার নামে প্রতারণা মামলায় একসময় রাজ্য পুলিশই দিল্লী থেকে গ্রেফতার করেছিল সৃজন রায়কে। ১০ মাস জেলেও ছিলেন তিনি। এবার তাঁকেই দলে সামিল করল তৃণমূল। ওই মামলায় নাম রয়েছে মুকুল রায়েরও। একাধিকবার বেহালা সরশুনা থানায় মুকুলবাবুকে হাজিরা দিতে দেখা গিয়েছে। এখনও সেই মামলার নিষ্পত্তি হয়নি। যদিও হাইকোর্ট বলেছে, এই প্রতারণা মামলায় মুকুলবাবুর বিরুদ্ধে চরম কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না রাজ্য প্রশাসন। তবে মুকুলবাবুকেও পাল্টা তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে।

16 25 00 images 1
Kolkata24×7

এদিন সৃজনের পরিচয় দিতে গিয়ে ব্রাত্য বসু বলেন, “ওঁর নাম সৃজন রায়। এখানে রায়টা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ উনি বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের শ্যালক।” এরপর সৃজনবাবু বলেন, “বর্তমানে রাজ্যে যে সংস্কৃতি চলছে তা সম্পূর্ণ আমাদের পরিপন্থী। আমি মনে করি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই প্রকৃত ধর্মনিরপেক্ষ। তাই আমি আজ তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলাম।” এদিন সৃজন ছাড়াও তৃণমূলে যোগ দেন কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী জ্যোতিপ্রকাশ মজুমদার এবং অভিনেত্রী তথা মডেল নীলাঞ্জনা মজুমদার। এই ব্যাপারে বিজেপির এক মুখপাত্র এদিন বলেন, “সবাই বুঝতে পারছে পুলিশের ভয় দেখিয়ে এসব যোগদান করানো হচ্ছে। বাংলার মানুষ সব বুঝতে পারছেন। আসলে তৃণমূলের এখন এতটাই দেউলিয়া দশা যে এর বউ, তাঁর শালাকে পতাকা ধরিয়ে দলে টানছে।”