বাড়িতে ছানা নেই, এই উপকরণের সাহায্যে মাত্র ১০ মিনিটে বানিয়ের ফেলুন সুস্বাদু মিষ্টিটি – কলমে সায়নী চ্যাটার্জি

আমরা বাঙালি। বাঙালি মানেই মিষ্টির উৎসব। সে পুজো বাড়ি হোক বা বিয়েবাড়ি মিষ্টি কিন্তু সর্বত্র বর্তমান। মিষ্টি ছাড়া কোনো অনুষ্ঠান সম্পূন্নই নয়। আর সেই মিষ্টিই যদি আপনি বানাতে পারেন তাও ঘরে থাকা কিছু উপকরণ দিয়ে তাহলে তো কোনো কথাই নেই।

একটা সময় ছিল যখন বাড়িতে বাড়িতে মিষ্টি তৈরী হত। বাড়ির মহিলারা উৎসব – পার্বনে তৈরী করতেন ঘরোয়া নানা রকম মিষ্টি। তার স্বাদ ও গন্ধ ছিল অতুলনীয়। তখনকার প্রায় সব বাড়িতেই সন্দেশের নানান রকম ছাঁচ পাওয়া যেত। বাড়িতে অতিথি এলে ঘরোয়া মিষ্টিই পরিবেশন করা হত। কিন্তু সময় পরিবর্তন। এখনকার সমাজে পুরুষ – মহিলা কারুরই বেশি সময় নেই। সবাই কর্মক্ষেত্রে ব্যাস্ত। পুরানো অনেকে রীতিই আজ বিলিপ্ত।

কিন্তু মিষ্টি এখুনও বহাল তবিয়ত বিরাজ করছে। আর সেই মিষ্টি আপনিও বানিয়ে ফেলতে পারবেন মাত্র ১০ মিনিটেই।

মিষ্টির নাম সুজির চমচম। হ্যাঁ সুজিই প্রধান উপকরণ। বাড়িতে ছানা না থাকলে এই উপকরণ দিয়ে আপনিও দোকানের মতো পারফেক্ট মিষ্টি বানাতে পারবেন।আসুন দেখেনিন কী কী উপকরণ লাগবে আর সঠিক প্রণালীটি।উপকরণ :সুজি = ১/২ কাপদুধ = ১ কাপনারকোল কোরা = ১/৪ কাপচিনির গুঁড়ো = ১/২ কাপএলাচের গুঁড়ো =১/৪ চা চামচঘি =১ টেবিল চামচ প্রণালী =প্রথমে সুজিটাকে মিক্সসিতে একটু মিহি করে গুড়িয়ে নিন। তারপর কড়াই গরম করে তাতে সুজিটা দিয়ে এক থাকে দেড় মিনিটের মতো নেড়ে নিন। খেয়াল রাখবেন সুজিটা যেন লাল না হয়ে যায়। এরপর কড়াইয়ে দুধ মিশিয়ে দিন ও তার সাথে এক চামচ ঘি দিন। যাতে গন্ধটাও ভালো হয়।

মিষ্টি

এবার কয়েক মিনিট ভালো করে নাড়াতে থাকুন। যখন সুজি দুধটা পুরো টেনে নেবে আর জমাট বেঁধে যাবে তখন টা নামিয়ে নিন। এবার ঠান্ডা হতে দিন। ঠান্ডা হয়ে এলে সুজির সাথে একে একে চিনির গুঁড়ো, নারকোল কোরা, এলাচের গুঁড়ো মিশিয়ে ভালো করে মাখতে থাকুন। মাখা হয়ে এলে দু হাতে ঘি মাখিয়ে তা থেকে চমচম আকারে মন্ড তৈরী করে স্টিলের থালায় সাজিয়ে রাখুন। এবার একটা পাত্রে জল গরম করতে দিন, জল গরম হয়ে এলে স্টিলের থালাটি ওটার উপর বসিয়ে চাপা দিন। মিনিট পাঁচেক পর কিছু নারকোল কোরার সাথে মাখিয়ে পরিবেশন করুন।।