নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ২০২০-র শেষে জানা গেল টেট পরীক্ষার সময়সূচী। ২০১৭ সালে যে টেট (TET) পরীক্ষা হবার কথা ছিল অবশেষে তার দিন ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এবছর আগামী ৩১ শে জানুয়ারি বেলা ১টা থেকে বিভিন্ন কেন্দ্রে প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক নিয়োগের টেট পরীক্ষা শুরু হবে। পরীক্ষার্থীরা আড়াই ঘণ্টা সময় পাবেন ১৫০ নম্বরের উত্তর করার জন্য। শেষ হবে দুপুর সাড়ে তিনটেয়।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে শূন্যপদের সংখ্যা ১৬,৫০০। পরীক্ষায় বসবেন আড়াই লক্ষ্যেরও বেশি চাকরিপ্রার্থী। করোনা পরিস্থিতিতে বিগত কয়েকমাস ধরে অন্য সব পরীক্ষা অনলাইনে হলেও শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশ অনুযায়ী ৩১ শে জানুয়ারি টেট পরীক্ষা হবে অফলাইনেই। অর্থাৎ নির্দিষ্ট পরীক্ষাকেন্দ্রে গিয়েই কাগজে কলমে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা দিয়ে আসতে হবে। এক্ষেত্রে সংক্রমণের ঝুঁকি থাকলেও উপযুক্ত সাবধানতা অবলম্বন করা হবে বলেই শিক্ষা দপ্তরের আশ্বাস। নবান্নে এক সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী টেটের দিনক্ষন ঘোষণা করের সঙ্গে সঙ্গে এও বলেন যে কর্তব্যে কোন গাফিলতি হবেনা। নিয়ম শৃঙ্খলা মেনে, সতর্কতা বজায় রেখেই পরীক্ষার যাবতীয় ব্যবস্থা পরিচালনা করবে শিক্ষা সংসদ। পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিতে নির্দেশাবলী পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে সরকারি তরফে। তাঁরা সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি নিচ্ছেন যাতে পরীক্ষার্থীদের কোন অসুবিধে না হয়।

প্রাথমিক টেট মুখ্যমন্ত্রী বিজ্ঞপ্তি
সুত্রঃ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ

মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন একদফায় ১৬,৫০০ পদের নিয়োগ হবে। যারা ২০১৪ সালে টেট পাশ করেছেন তাঁদের নথি যাচাইয়ের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল বছর শেষে। ২০১৪ সালের যেসব টেট পাশ প্রার্থীরা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ২৫শে নভেম্বর থেকে ১লা ডিসেম্বর পর্যন্ত অনলাইনে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রার্থী হিসেবে নাম নথিভুক্ত করেছিলেন, শুধুমাত্র তাঁরাই এই নিয়োগের জন্য দরখাস্ত করতে পারবেন। বয়স হতে হবে ১-১-২০২০ হিসেবে ১৮ থেকে ৪০-এর মধ্যে। তপশিলি, ও বি সি-রা যথারীতি বয়সে ছাড় পাবেন। প্রতিবন্ধী ও প্যারা টিচারদের জন্য রয়েছে ১০ শতাংশ সংরক্ষণ।
প্রাথমিক শিক্ষকের পদে মূল মাইনেঃ ২৮,৯০০ টাকা। এছাড়াও রয়েছে ভাতার বন্দোবস্ত। প্রার্থী বাছাই হবে ২০১৬ সালের পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের বিধি অনুযায়ী। এজন্য প্রার্থীদের ভাইভা ও অ্যাপ্টিটিউড টেস্টে সফল হতে হবে। জানুয়ারির ১০ তারিখ থেকে ১৭ তারিখ অবধি চলবে প্রার্থী বাছাইয়ের টেস্ট। ইন্টার্ভিউয়ের ১০ নম্বর সুরক্ষিত করলে প্রার্থীরা নির্বাচিত হবেন। মার্চ থেকে জুনের মধ্যেই শেষ করতে হবে নিয়োগ প্রক্রিয়া, মুখ্যমন্ত্রী এমনই নির্দেশ দিয়েছেন।


1 COMMENT