নিজস্ব সংবাদদাতা- গত শুক্রবার এ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তারপরেই রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে প্রার্থী বাছাই নিয়ে তৎপরতা তুঙ্গে উঠেছে। এরই মধ্যে শোনা যাচ্ছে প্রথম দফায় ১৩০ টি বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী তালিকা রাজ্য বিজেপির পক্ষে থেকে দিল্লীতে পাঠানো হয়েছে। দলের সংসদীয় বোর্ড বৈঠকে বসে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকায় সীলমোহর দেবে। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে তারা একসঙ্গে ২৯৪ টি আসনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করবে না, তিনটি বা বা চারটি ধাপে গোটা রাজ্যের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হবে।
বামেরা যতদিন পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতায় ছিল ততদিন দেখা গিয়েছে লোকসভা ও বিধানসভা ভোট ঘোষণার আগেই তারা প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে দিয়েছে। ক্ষমতা চলে যাবার পর তাদের সেই রেওয়াজে ছেদ পড়লেও তৃণমূল বরাবরই নির্বাচনী নির্ঘণ্ট ঘোষণার দিন সন্ধ্যেবেলায় তাদের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে। কিন্তু এই রেওয়াজেও এবার ব্যতিক্রম ঘটতে দেখা গিয়েছে। নির্বাচন কমিশন ভোটের দিন ঘোষণা করে দেওয়ার পর প্রায় একটা গোটা দিন কাটতে চলেছে, এখনও পর্যন্ত তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হয়নি। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য বিজেপির পক্ষ থেকে ১৩০ টি আসনের প্রার্থী তালিকা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে পাঠানোর ঘটনা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। এই ঘটনা বুঝিয়ে দিচ্ছে এবারের ভোটে গেরুয়া শিবির কতটা প্রস্তুত হয়ে আছে।
বিভিন্ন সূত্র মারফত জানা গিয়েছে বাম-কংগ্রেস জোটের মধ্যে সিপিএমের প্রার্থী তালিকা ইতিমধ্যেই চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। মাম শরিকদেরও প্রার্থী তালিকা মোটামুটি চূড়ান্ত। কংগ্রেসের জন্য হয়তো আর একদিন-দুদিন অপেক্ষা করবে তারা। তার মধ্যে অধীর চৌধুরীরা যদি প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করে ফেলতে পারে ভালো। না হলে কংগ্রেস ও ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের আসনগুলি ছেড়ে রেখে বাকি সমস্ত আসনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে দেবেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু।
রাজনৈতিক মহল মনে করছে তৃণমূল এবারে কৌশলগত কারণেই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করতে কিছুটা দেরি করছে। কারণ আগাম প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হয়ে গেলে বেশ কিছু আসনে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ঘটনা মাথাচাড়া দেবে বলে রাজ্যের শাসকদলের আশঙ্কা। সে ক্ষেত্রে ফের একপ্রস্থ দলে ভাঙন ধরতে পারে। অবশ্য এই একই আশঙ্কায় ভুগছে বিজেপি। এখন দেখার রেকর্ড ৮ দফা ভোটের মতো রাজনৈতিক দলগুলি কত দফায় তাদের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে।