গতকাল বছরের প্রথম দিন বিজেপির পক্ষ থেকে তাদের সদ্যগঠিত নতুন সাংগঠনিক জেলা বনগাঁর জেলা সভাপতি ডা: মানস্পতি দেবকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এই সাংগঠনিক জেলার অন্তর্গত বসিরহাট দক্ষিণ মণ্ডল কমিটির পক্ষ থেকে সংবর্ধনা সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় অঞ্চলের বিশিষ্ট বিজেপি নেতারা, সেইসঙ্গে বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুরও উপস্থিত ছিলেন।
কয়েকদিন আগেই বারাসাত সাংগঠনিক জেলাকে ভেঙে নতুন বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা তৈরি করা হয়েছে। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলের কার্যকলাপ আরো বৃদ্ধি করতে এবং সাংগঠনকে শক্তিশালী করে তুলতে এই বিভাজন ঘটানো হয়েছে। প্রসঙ্গত ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্র দখল করার মধ্য দিয়ে বনগাঁয় বিজেপি অনেকটাই শক্তিশালী হয়ে ওঠে। যদিও বারাসাতে মধ্যমগ্রামের মতো অঞ্চলগুলিতে এখনো পর্যন্ত তৃণমূলের সাংগঠনিক ক্ষমতা অনেক বেশি বলেই মনে করে রাজনৈতিক মহল।
উত্তর চব্বিশ পরগনার জেলা রাজনীতি সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল ব্যক্তিরা মনে করছেন তৃণমূলের সঙ্গে নিজেদের সাংগঠনিক দুর্বলতা দূর করতে এবং দলের কার্যকলাপ আরো বাড়িয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যেই গেরুয়া শিবিরের সাংগঠনিক স্তরে এই বিভাজন ঘটানো হয়েছে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার প্রথম সভাপতি হিসাবে তারা স্বচ্ছ ভাবমূর্তির মানস্পতি দেবকে বেছে নিয়েছে। মনে করা হচ্ছে এর ফলে বিজেপি সমর্থক নয় বনগাঁ-বসিরহাট অঞ্চলের এমন মানুষদের কাছেওখুব সহজে বিজেপি পৌঁছে যেতে পারবে, যা আখেরে ২০২১ এর বিধানসভা ভোটের সময় বিজেপির প্লাস পয়েন্ট হতে পারে।
নতুন জেলা সভাপতির দায়িত্ব পেয়েই মানস্পতি দেব জোরকদমে কাজে নেমে পড়েছেন। তিনি প্রথম দিন থেকেই তৃণমূল স্তরের কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করে দলের সাংগঠনিক ভিত্তি আরো জোরদার করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সেইসঙ্গে দল যাতে মানুষের দাবী দাওয়ার বিষয়টি নিয়ে কাজকর্ম করে সেই দিকেও নজর দিতে বলেছেন এই নবনির্বাচিত জেলা সভাপতি।