নিজস্ব সংবাদদাতা: গৌতম বুদ্ধ আর তাঁর প্রচারিত বৌদ্ধ ধর্মের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কটা বহু প্রাচীন। একথা ঠিক যে বর্তমানে ভারতে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী মানুষের সংখ্যাটা নিতান্তই হাতে গোনা, কিন্তু ভারতের আশেপাশের দেশ গুলোতে এই ধর্মের প্রাদুর্ভাব রয়েছে ভালোই। থাইল্যান্ড, মায়ানমার, ভূটান, শ্রীলঙ্কাকে বর্তমানে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী দেশের আখ্যা দেওয়া যায়। তবে ভারতেও ভগবান বুদ্ধের জনপ্রিয়তা কিছু কম নয়।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গৌতম বুদ্ধের বড় মূর্তি রয়েছে। ভারতেও অনেক রাজ্যে রয়েছে বুদ্ধমূর্তি। তবে শ্রীলঙ্কা বা মায়ানমার বা থাইল্যান্ডের মতো বৌদ্ধপ্রধান দেশে নয়, এবার সবথেকে বড় শায়িত বুদ্ধমূর্তি তৈরি হচ্ছে ভারতে। খাস কলকাতার বুকেই জোর কদমে চলছে সেই মূর্তি তৈরির কাজ৷ উত্তর কলকাতার বরানগরে এই সুদীর্ঘ শায়িত বুদ্ধ মূর্তিটির দৈর্ঘ্য হতে চলেছে প্রায় ১০০ ফুট। দেশের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী মানুষের জন্য এই সংবাদ নিঃসন্দেহে খুশির বার্তাবহ।
জানা গেছে, বরানগরের ঘোষপাড়ার নৈনান বান্ধব সমিতির মাঠে এই বিশালায়তন বুদ্ধমূর্তি তৈরির কাজ চলছে। তৈরি করছেন কুমোরটুলির সুদক্ষ মৃৎশিল্পী মিন্টু পাল৷ সূত্রের খবর, বুদ্ধগয়ার আম্মাঠোকরে বুদ্ধ ইন্টারন্যাশনাল ওয়েলফেয়ার মিশনের বৌদ্ধ মন্দিরে চলতি বছরেই স্থাপিত হবে ১০০ ফুটের এই সুবিশাল শায়িত বুদ্ধমূর্তি। সেই মিশনের এক সন্ন্যাসী জানান, দেশের মধ্যে গৌতম বুদ্ধের এই ধরনের স্থাপত্য আর কোথাও নেই। দেশ ও বিশ্বে শান্তির বাণী ছড়িয়ে দিতেই তাঁদের এই প্রয়াস বলে জানিয়েছেন তিনি।
এই প্রসঙ্গে কলকাতার শিল্পী মিন্টু পাল জানিয়েছেন, এই ধরণের মূর্তি গড়ে তোলার কাজ পেয়ে তিনি অত্যন্ত গর্বিত। তাঁর দাবি, ভারতের কোথাও ভগবান বুদ্ধের এত বড় শায়িত মূর্তি নেই। গত বছরের সেপ্টেম্বর মাস থেকে এই মূর্তি তৈরির কাজ শুরু হয়েছে৷ চলতি বছরের মার্চের শেষদিকে বা এপ্রিল মাসের শুরুতেই কাজ সম্পূর্ণ হবে বলে আশা রাখছেন মিন্টুবাবু। মূর্তি তৈরি হয়ে গেলেই সেটি পাঠিয়ে দেওয়া হবে বুদ্ধগয়ায়।
মূল ধর্ম হিসেবে ঘোষিত না হলেও বৌদ্ধ ধর্মের প্রাধান্য দেখা যায় বিশ্বের যে সমস্ত রাষ্ট্রে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল জাপান, সিঙ্গাপুর, তাইওয়ান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং ভিয়েতনামের নাম। অর্থাৎ পূর্ব এবং দক্ষিণ এশিয়ার একটা বড় অংশ জুড়েই রয়েছে বৌদ্ধ প্রাধান্য।